ঢাকা     বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

বাংলাদেশের কারণে বিপাকে ভারতের ওষুধ রপ্তানি ও চিকিৎসা পর্যটন কোম্পানিগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৯:৩৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের কারণে বিপাকে ভারতের ওষুধ রপ্তানি ও চিকিৎসা পর্যটন কোম্পানিগুলো

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় ওষুধ রপ্তানিকারক এবং চিকিৎসা পর্যটন কোম্পানিগুলো। ওষুধ কোম্পানিগুলো ব্লকড পেমেন্ট, মিসপ্লেস শিপমেন্ট এবং আমদানিকারকদের নিস্ক্রিয়তার মতো সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে। এছাড়া বাংলাদেশি রোগীরা হয় আকস্মিকভাবে তাদের ভারত ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করছে বা স্থানীয় অস্থিরতার কারণে ভ্রমণ করতে পারছে না।

শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এ তথ্য জানিয়েছে।

ফার্মাসিউটিক্যালস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (ফার্মেক্সিল) মতে, বর্তমানে ভারতীয় কোম্পানিগুলো বকেয়া ও আর্থিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশে পণ্য সরবরাহে দ্বিধা করছে।

ফার্মেক্সিলের সিইও রাজা ভানু বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প - যা ওষুধ ও মধ্যবর্তী পণ্য রপ্তানি করে - বকেয়া, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং লজিস্টিক সমস্যা সম্পর্কে উদ্বেগ সহ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।’

ভানু জানান, পরিবহন একটি প্রধান সমস্যা হয়ে উঠেছে, সীমান্তে চালান আটকে যাচ্ছে এবং বীমা সুরক্ষিত করতে অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে, আমরা আশা করতে পারি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যাইহোক, এটি কীভাবে আমাদের খাতকে প্রভাবিত করবে সে সম্পর্কে একটি চূড়ান্ত বিবৃতি দেওয়া খুব তাড়াতাড়ি প্রয়োজন।’

ভারতীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যল পণ্য রপ্তানি প্রিল থেকে মে পর্যন্ত ৪২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে জুন মাসে রপ্তানি বৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভিসাজনিত সমস্যার কারণে ভারতের চিকিৎসা পর্যটন খাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

মেডিকেল ভ্যালু ট্র্যাভেল কোম্পানি গ্লোবাল কেয়ারের প্রধান নির্বাহী রাজীব তানেজা জানান, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী এসেছিলেন। এই সংখ্যা ভারতে আসা মোট বিদেশি রোগীর অর্ধেকেরও বেশি ছিল। তবে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘রোগী আসার হ্রাস - কিছু ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত, যা শুধুমাত্র হাসপাতালের রাজস্বকেই প্রভাবিত করে না বরং যাদের প্রয়োজন তাদের জন্য ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে।’

আরেকটি মেডিকেল ট্রাভেল কোম্পানি মেডিজার্ন, একই রকম পর্যবেক্ষণ করেছে। মেডিজার্নের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইশান দোধিওয়ালা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অস্থিরতা নিঃসন্দেহে ভারতে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের প্রবাহকে প্রভাবিত করেছে, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং সংশ্লিষ্ট পরিষেবাগুলোর জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ হাজির করেছে।’

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়