ঢাকা     শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৫ ১৪৩১

পান্নুন হত্যাচেষ্টা: মার্কিন আদালতের সমন পেল ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৩:৩৪, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পান্নুন হত্যাচেষ্টা: মার্কিন আদালতের সমন পেল ভারত

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে একটি দেওয়ানি মামলার ভিত্তিতে মার্কিন আদালত ভারত সরকারকে তলব করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের দক্ষিণ জেলার মার্কিন জেলা আদালতের তলবের তালিকায়, ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, গোয়েন্দা সংস্থা র-এর সাবেক প্রধান সামন্ত গোয়েল, র-এর এজেন্ট বিক্রম যাদব এবং ভারতীয় ব্যবসায়ী নিখিল গুপ্তার নাম রয়েছে। সমনে নয়াদিল্লি এবং যাদের নাম রয়েছে তাদেরকে ২১ দিনের মধ্যে জবাব দাখিল করতে বলেছে মার্কিন আদালত।

ভারত সরকার এখনও সমনের কোনো জবাব দেয়নি। পান্নুনের এক্স হ্যান্ডেল থেকে এই সমনের একটি অনুলিপিও শেয়ার করা হয়েছে।

গতবছরের নভেম্বরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটোন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র পান্নুনকে হত্যার একটি চক্রান্ত নস্যাৎ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরবর্তীতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। 

পান্নুন হলেন ভারতে নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর প্রধান। তার যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। তার উদ্দেশ্যে, ভারতে শিখদের জন্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক পান্নুনকে হত্যার ব্যর্থ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’। ওই সংস্থার সাবেক প্রধান সামন্ত গোয়েল ওই হত্যার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিলেন। পরিকল্পনা কার্যকর করার দায়িত্ব বর্তেছিল বিক্রম যাদব নামে ‘র’-এর এক কর্মকর্তার ওপর।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘এটি একটি উদ্বেগের বিষয়।’ তিনি জানান, ভারত ইতিমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে।

অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে মামলাটি মার্কিন আদালতে দায়ের করা হয়েছে, তাকে একজন ভারতীয় কর্মকর্তার সাথে যুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে, এটি উদ্বেগের বিষয়। আমরা বলেছি যে, এটি সরকারি নীতিরও পরিপন্থী।’

চলতি বছরের বছরের মে মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে, ভারত সরকার বিষয়টি তদন্ত করছে। তার আরও জানান, এ ঘটনা ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উর্ধ্বগামী গতিপথকে বদলাবে বলে মনে করেন না তিনি। 

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়