ইসরায়েলের বেসামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি ইরানের
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন বাঘেরি
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন বাঘেরি বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে তারা ইসরায়েলে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তা কেবল সামরিক লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে ইসরায়েল প্রতিক্রিয়া জানালে আরও বিস্তৃত পরিসরে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। খবর সিএনএনের।
বাঘেরি বলেন, ‘ইরান মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থা, নেভাটিম বিমানঘাঁটি, হাটজোর বিমানঘাঁটি, রাডার স্থাপনা এবং ইসরায়েলি ট্যাংক গ্রুপসহ সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যদিও অনেক বিস্তৃত আক্রমণ চালানোর বিকল্প রয়েছে।’
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতা ছিল ইসরায়েলের অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে হামলা করার, কিন্তু আমরা শুধুমাত্র সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছি।’
তিনি ইসরায়েল ও তার সমর্থকদের জন্য সতর্ক বার্তাও দিয়েছেন।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সতর্ক করে বলেন, ‘যদি ইহুদিবাদী শাসককে নিয়ন্ত্রণ না করা হয় এবং ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে আমরা ইসরায়েলের সব ধরনের অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবো।’
বাঘেরি বলেন, ‘হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও আইআরজিসি কমান্ডার আব্বাস নিলফোরোশনকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবারের হামলাটি চালানো হয়েছে।’
হাসান নাসরাল্লাহ, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, গত শুক্রবার বৈরুতে তার ভূগর্ভস্থ অফিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই একই হামলায় ইরানের শক্তিশালী ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সিনিয়র কমান্ডার আব্বাস নিলফোরোশন নিহত হয়েছেন।
হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে গত জুলাই মাসে তেহরানে একটি বিস্ফোরক যন্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছিল। ইরান সরকার ও হামাস বলছে, ইসরায়েল এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। ইসরায়েল তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বলেন, ‘হানিয়াহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আমরা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয়দের বারবার অনুরোধে সংযমের একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি, কারণ তারা আমাদেরকে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলে হামলা থেকে বিরত থাকতে বলেছিল। কিন্তু হাসান নাসরাল্লাহ এবং কমান্ডার নিলফোরোশন শাহাদাতের পর পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে ওঠে।’
/ফিরোজ/