লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত
লেবাননে ইসরায়েলের হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২ লাখে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) লেবাননের মন্ত্রী পরিষদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর সিনহুয়া নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত মানুষ নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্য এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে। অনেকে নতুন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। অনেকে সরকারি-বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, লেবানন ছেড়ে হাজার হাজার মানুষ অন্য দেশে চলে গিয়েছে, বিশেষ করে সিরিয়াতে।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে দেখা যায়, ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৩ জন সিরীয় এবং ৭৬ হাজার ২৬৯ জন লেবাননের নাগরিক সিরিয়াতে প্রবেশ করেছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, লেবাননজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য ৮৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬৪৩টি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
ইসরায়েল সম্প্রতি লেবাবনের রাজধানী বৈরুত এবং এর শহরতলিতে হিজবুল্লাহর কর্মকর্তাদের ও স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে বিমান হামলা জোরদার করেছে। একই সাথে সীমিত আকারে স্থল অভিযান শুরু করেছে।
ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণে দক্ষিণ ও পূর্ব লেবানন, সেইসাথে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় আশ্রয়ের সন্ধানে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে।
ইসরায়েল সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাজা উপত্যকা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে নজর ফেরানোর ঘোষণা দেওয়ার পর হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রভাবে বেড়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ইসরায়েল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের মধ্যে দেশটিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
লেবাননে আমেরিকান টাস্ক ফোর্স আয়োজিত একটি অনলাইন ব্রিফিংয়ে মিকাতি বলেন, ‘লড়াই বন্ধ করুন। আমাদের আর রক্তের প্রয়োজন নেই। আমাদের আরও ধ্বংসের প্রয়োজন নেই। এখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন আছে।’
/ফিরোজ/