ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩০ ১৪৩১

হাভানায় ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ১৫ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১২:৪৬, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
হাভানায় ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

ইসরায়েলের এই বর্বর আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে সোমবার (১৪ অক্টোবর) ক্যারিবিয়ান দেশ কিউবাতে ফিলিস্তিনপন্থি বিশাল বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী হাভানায় হাজারও মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল।

এসময় তিনি ও তার সহযোগীরা ঐতিহ্যবাহী কেফিয়াহ স্কার্ফ পরেছিলেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের সাথে নিজেদের সংহতি প্রকাশ করতে এবং ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানাতে প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল এবং কমিউনিস্ট-পরিচালিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির অন্যান্য নেতাদের নেতৃত্বে হাজার হাজার কিউবান নাগরিক হাভানায় মিছিল করেছেন।

কিউবায় বসবাসরত প্রায় ২৫০ ফিলিস্তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীও এই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। মিছিলে বিক্ষোভকারীরা একটি বড় ব্যানার বহন করেন যাতে লেখা ছিল, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক’।

মিছিলে অংশ নেওয়া মিশেল মারিনো নামে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ২০ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা এখানে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য দাবি, তাদের সার্বভৌমত্ব, তাদের স্বাধীনতা… এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েল যে গণহত্যামূলক ক্রুসেড চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।’

ফিলিস্তিনপন্থি এই বিক্ষোভ মিছিলটি গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের বার্ষিকীতে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হ্যারিকেন মিল্টনের কারণে সেসময় মিছিলটি স্থগিত করা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় মিল্টন গত সপ্তাহে কিউবা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদারিত্বের প্রতিবাদে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৯৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

হাভানায় মিছিলে অংশ নেওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুওয়ান বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন,  ‘পুরো বছর ধরে আমাদের গাজায় একটি দিনও শান্ত হয়নি, শান্তির একটি দিনও হয়নি এবং পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিন আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে। বিশ্ব পঙ্গু হয়ে আছে, তাই এই ট্র্যাজেডি থামাতে অক্ষম।’ 

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গত জুন মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় সমর্থন দিয়েছিল কিউবা । 

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়