ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ১ ১৪৩১

নাইজেরিয়ায় ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ১৪৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ০৯:৫৫, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
নাইজেরিয়ায় ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ১৪৭

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৭ জনে পৌঁছেছে। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০০ জন। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে অন্তত ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার ভোরে উত্তর জিগাওয়া রাজ্যে একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কার উল্টে যায়। এ সময় অনেকেই রাস্তায় ছড়িয়ে পড়া জ্বালানি সংগ্রহের চেষ্টা করেন। সেই সময় ট্যাঙ্কারটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।

জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র নুরা আব্দুল্লাহি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষকে গণকবরে দাফন করা হয়েছে।

মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এর আগে পুলিশ কমপক্ষে ৯৪ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল।

নাইজেরিয়া আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশ। সেখানে জ্বালানি ও তেল পরিকাঠামোতে প্রায়ই মারাত্মক অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের হয়। আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এই দেশে এমন দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায়ই ট্যাংকার থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে ঝুঁকি নেয়, যা প্রাণঘাতী বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

গত মাসে নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্য রাজ্য নাইজারে একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারের সাথে আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষের পর বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছিল। এপ্রিলে একই ধরনের আরেকটি বিস্ফোরণে ১০০টিরও বেশি যানবাহন পুড়ে গিয়েছিল। গত বছরের জুলাই মাসে, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি উল্টে যাওয়া জ্বালানি ট্যাঙ্কার থেকে জ্বালানি সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণে  কমপক্ষে আটজন মারা গিয়েছিল।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ফুয়েল ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণগুলো নাইজেরিয়ায় সড়ক-সম্পর্কিত মৃত্যুর একটি ছোট অংশ। প্রায় ২২ কোটি মানুষের দেশটিতে গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৩১ হাজার জন আহত হয়েছিল।

রাস্তার খারাপ অবস্থা, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন এবং ঢিলেঢালাভাবে প্রয়োগ করা নিরাপত্তাবিধি, যেমন বেপরোয়া ড্রাইভিং- সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি।

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়