যেভাবে হামাসপ্রধান সিনওয়ারকে খুঁজে পায় ইসরায়েলি সেনারা
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মাসের পর মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে তন্ন তন্ন করে খুঁজছিল। সিনওয়ার গাজার যেসব জায়গায় অবস্থান নিয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে পারেন, এমন এলাকার পরিসর ধীরে ধীরে সীমিত করে আনছিল ইসরায়েলি সেনারা।
দক্ষিণ গাজায় গত বুধবার ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন সিনওয়ার। তবে অভিযানে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি সেনারা প্রাথমিকভাবে জানতেন না যে, তারা তাদের তাদের দেশের ১ নম্বর শত্রুকে হত্যা করেছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের ৮২৮তম বিসলামাক ব্রিগেডের একটি ইউনিট বুধবার রাফাহ অঞ্চলের তাল আল-সুলতানে টহল দিচ্ছিল। সৈনারা তিন সন্দেহভাজনকে ভবনগুলোর মধ্যে চলাচল করতে দেখে এবং গুলি চালায়। এর জবাবে ওই তিনজন গুলি ছুড়লে একটি বন্দুকযুদ্ধ হয়। এদের এক জন এক পর্যায়ে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে পালিয়ে যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বিবরণ অনুযায়ী, ট্যাঙ্কের শেল এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্র ওই ভবনে ছোড়া হয়। বৃহস্পতিবার সামরিক বাহিনী একটি মিনি ড্রোন থেকে ফুটেজ প্রকাশ করেছে। তাতে গুরুতর আহত সিনওয়ারকে দেখা যায়। ওই সময় তিনি একটি চেয়ারে বসে ছিলেন, তার মুখ স্কার্ফে ঢাকা ছিল। তিনি ড্রোনের দিকে লাঠি নিক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন, এটিকে ছিটকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ইসরায়েলি সেনারা ওই ভবনে প্রবেশ করে তিন জনকে গুলি করে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ডের পর এই তিন জনের ব্যাপারে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কিছু মনে হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সময়, একটি মৃতদেহের সাথে হামাসের নেতার বেশ সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তবে সন্দেহজনক বুবি ফাঁদের কারণে মৃতদেহটি ঘটনাস্থলেই থেকে যায়। তদন্তের জন্য মৃতদেহের আঙুলের অংশ কেটে পরীক্ষার জন্য ইসরায়েলে পাঠানো হয়। রাতে ইসরায়েলি বাহিনী নিশ্চিত হয় যে, তারা হামাসপ্রধানকে হত্যা করেছে।
ঢাকা/শাহেদ