ঢাকা     বুধবার   ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ১৪ ১৪৩১

খালিস্তানপন্থি শিখদের ওপর হামলায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জড়িত: কানাডা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ৩০ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১১:৩২, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
খালিস্তানপন্থি শিখদের ওপর হামলায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জড়িত: কানাডা

কানাডা সরকার মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) অভিযোগ করে বলেছে, তাদের দেশে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর হামলার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রয়েছেন।

কানাডার দাবি, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থি শিখদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর অনুমোদন অমিত শাহ দিয়েছিলেন। ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত অমিত শাহ।

বুধবার (২০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েকদিন আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তাতে দাবি করা হয়, কানাডার পুলিশের কাছে এমন প্রমাণ এসেছে, যা থেকে প্রমাণিত হয় যে ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় নেতার অনুমোদনেই খালিস্তানিদের ওপর হামলা হচ্ছে কানাডায়। সেই সময় সূত্রের বরাত দিয়ে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সেই ‘শীর্ষস্থানীয় নেতা’ হলেন অমিত শাহ।

গতকাল মঙ্গলবার কানাডার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মরিসন সংসদীয় কমিটির কাছে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, তিনিই মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন যে, খলিস্তানিদের ওপর হামলার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে অমিত শাহ ছিলেন। 

সংসদীয় কমিটিকে কানাডার উপ-পরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক আমাকে ফোন করেছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি ( অমিত শাহ) সেই ব্যক্তি কিনা। আমি নিশ্চিত করেছি যে, অমিত শাহ সেই ব্যক্তি।’ 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কানাডায় ভারতের হাইকমিশন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

ভারত শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সন্ত্রাসী ও দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা খালিস্তান নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি করছে। যা ভারতের একটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত হবে। ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে শিখ বিদ্রোহে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। 

গত বছর কানাডার একটি গুরুদ্বারের সামনে খলিস্তানপন্থি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যা করা হয়। কানাডা প্রশাসন এর দায় চাপায় ভারতের উপর। তাদের বক্তব্য, এই হত্যার সঙ্গে যোগ রয়েছে ভারতীয় হাইকমিশনারের। কানাডার এমন অভিযোগে ফাটল ধরে দিল্লি-অটোয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কে। ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্প্রতি কূটনৈতিক বহিষ্কারের পাল্টা-পাল্টি পদক্ষেপের ঘটনাও ঘটে।

আর এবার নতুন অভিযোগের জেরে ভারত-কানাডার সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়