ব্যালট পেপার চুরির অভিযোগে ট্রাম্পের দলের এক নেতা গ্রেপ্তার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। এর মধ্যে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ম্যাডিসনে ব্যালট চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ল্যারি স্যাভেজ নামের সেই নেতা রিপাবলিকান পার্টির হয়ে মার্কিন কংগ্রেস নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ইন্ডিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, একটি পরীক্ষামূলক ভোটিং বুথে সিস্টেমের পরীক্ষার সময় ভোটের ব্যালট চুরির অভিযোগে সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেস প্রার্থী ল্যারি স্যাভেজ বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। গত ৩ অক্টোবরের ওই পরীক্ষায় চারটি ভোটিং মেশিন এবং ১৩৬টি পরীক্ষামূলক ভোটের ব্যালট ব্যবহার করা হয়। কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষার সময় দুটি ব্যালট কম পাওয়া যায়।পরবর্তীতে সিসিটিভির ক্যামেরায় দেখা যায়, প্রিন্সেন্ট কমিটির সদস্য ৫১ বছর বয়সী ল্যারি স্যাভেজ পরীক্ষামূলক ব্যালট সম্পর্কে নির্দেশনার পর দুটি ব্যালট পেপার ভাঁজ করে নিজের পকেটে রাখছেন।
এ ঘটনায় একটি তল্লাশি পরোয়ানা জারি করে স্যাভেজের বাসভবনে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কর্মকর্তারা হারিয়ে যাওয়া ব্যালটগুলো স্যাভেজের গাড়িতে খুঁজে পান।
ইন্ডিয়ানার রিপাবলিকান পার্টির কমিউনিকেশন পরিচালক গ্রিফিন রিড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক হস্তক্ষেপের নিন্দা জানাই। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এই প্রচেষ্টার আমরা প্রশংসা করি।’
স্যাভেজের বিরুদ্ধে ব্যালট ধ্বংস বা ভুল স্থানান্তর ও চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত।
স্যাভেজ ইন্ডিয়ানার পঞ্চম কংগ্রেসনাল জেলার প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হতে রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করার চেষ্টা করছিলেন। তবে প্রাথমিক নির্বাচনে ২ শতাংশেরও কম ভোট পান তিনি। বর্তমান কংগ্রেস সদস্য ভিক্টোরিয়া স্পার্টজ রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পান তিনি এবং ডেমোক্রেট কংগ্রেস প্রার্থী ডেবোরাহ পিকেটের বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ভোট জালিয়াতির ঘটনা বেশ বিরল। তবে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সমর্থকেরা। এসব মামলার বেশির ভাগই আদালত বাতিল করে দিয়েছেন।
তবে ট্রাম্প চার বছর ধরে তার সেই দাবি বজায় রেখেছেন যে, ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছিল। যার ফলাফলস্বরুপ, এবারের নির্বাচনে কিছু রাজ্য এবং কাউন্টি সতর্কতা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে লড়বেন।
/ফিরোজ/