সবার পথ শেষ হচ্ছে ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে
কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনই গত বুধবার উত্তর ক্যারোলিনায়, বৃহস্পতিবার নেভাদায় এবং শুক্রবার উইসকনসিনে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। এই তিন রাজ্যই মার্কিন নির্বাচনে ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট হিসেবে পরিচিত। এক পর্যায়ে তারা একে অপরের থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিয়ে সমাবেশে করেছেন।
তাদের দুজনের এই দৌঁড়ঝাপ এটাই ইঙ্গিত দেয় যে, কয়েকটি রাজ্যে তুলনামূলকভাবে অল্প সংখ্যক ভোটারকে প্ররোচিত করার জন্য তার বেশ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ এই ব্যাটলগ্রাউন্ড সাতটি রাজ্য ছাড়া অন্যান্যগুলোকে ডেমোক্রেট কিংবা রিপাবলিকানদের ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এসব রাজ্য নিয়ে দুই প্রার্থীরই খুব একটা মাথাব্যাথা নেই।
জনমত জরিপে হ্যারিসের পক্ষে দেখানো সত্ত্বেও ট্রাম্প শনিবার ভার্জিনিয়ার সালেমে যাবেন। অপরদিকে, হ্যারিস শনিবার আরেক ব্যাটলগ্রাইন্ড রাজ্য জর্জিয়ায় যাবেন। সেখানে চলচ্চিত্র পরিচালক স্পাইক লি এবং গায়ক ভিক্টোরিয়া মোনেট একটি সমাবেশে বক্তৃতা করবেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২০ সালের নির্বাচনে মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ পয়েন্টে জর্জিয়ায় জিতেছিলেন। ১৯৯২ সালে বিল ক্লিনটনের পর প্রথমবারের মতো ডেমোক্রেটরা এই রাজ্যে জয় পেয়েছিল।
জরিপ সংস্থা ফাইভ থার্টিএইটের ফল অনুযায়ী, ভোটের গড় অনুযায়ী, ট্রাম্প জর্জিয়ায় জনপ্রিয়তার বিচারে হ্যারিসের চেয়ে মাত্রা ১ দশমিক ৬ শতাংশ এগিয়ে আছেন।
কমলা হ্যারিসের প্রচারাভিযানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শেষ প্রচারণার অংশ হিসেবে সোমবার হ্যারিসের শিবির ভোটারদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য সাত ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে আন্তঃসংযুক্ত সাংগঠনিক বৈঠকের পরিকল্পনা করেছে।
ঢাকা/শাহেদ