ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ১৯ ১৪৩১

যে কারণে আরব-আমেরিকানরা ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ৩ নভেম্বর ২০২৪  
যে কারণে আরব-আমেরিকানরা ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন

সামরা লুকমানের প্রত্যাশা,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে গেলে আরব আমেরিকানদের দায়ী করা হোক। গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলাকে অন্ধভাবে সমর্থন দেওয়ার জন্যই তিনি ডেমোক্রেটদের পরাজয় চান।

ডেট্রয়টের বাসিন্দা লুকমান বলেন, ‘হ্যারিস হেরে গেলে আমি পরের দিন দেখাব, আমি বলব: এই সম্প্রদায়ের কারণে, গাজার কারণে এবং গণহত্যার কারণে আপনি পরাজিত হয়েছেন। এবার আপনার ক্ষমতার কৃতিত্ব নিন।’

ট্রাম্পকে আরব-আমেরিকানদের সমর্থন কয়েক বছর আগেও অকল্পনীয় ছিল। শুধু ইয়েমেনি আমেরিকান অধিকারকর্মী লুকমানই নন, আরব-আমেরিকানদের বড় একটি অংশ এখন ডেমোক্রেটদের ছেড়ে রিপাবলিকানদের পতাকা তলে হাজির হচ্ছেন।

আরো পড়ুন:

গাজা এবং লেবাননে ভয়াবহ ইসরায়েলি নৃশংসতায় ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শর্তহীন সমর্থন লুকমানের মতো মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক প্রতিনিধিকে এতটাই বিচলিত করেছে যে তারা পরিবর্তনের আশায় ট্রাম্পের সাথে জোট গঠন করছে। মুসলিমবিরোধী এবং অভিবাসীবিরোধী বক্তব্যের ইতিহাস সত্ত্বেও, ট্রাম্প এই ধরনের অসন্তুষ্ট ভোটারদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার তিনি ডিয়ারবর্নে কয়েক ডজন আরব আমেরিকানের সাথে দেখা করেছেন।

মার্কিন প্রশাসনে যে আসুক না কেন তারা সবাই কম বেশি ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ। এমন প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া কতটা যৌক্তিক?

এমন প্রশ্নের জবাবে লুকমান জানান, ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া একটি জুয়া কিন্তু ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে হ্যারিসকে সমর্থন করা নিশ্চিত ক্ষতি।

তিনি বলেন, ‘৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে, তিনি এই গণহত্যা চালিয়ে যান, কিন্তু আমি সেই ১শতাংশ সুযোগ নিতে যাচ্ছি যে তিনি এটি বন্ধ করবেন। বিপরীত দিক থেকে, হ্যারিসের অধীনে এটি চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ।’

ট্রাম্প এবার মধ্যপ্রাচ্যে ‘শান্তি’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কীভাবে তিনি এটি অর্জন করবেন এবং তার প্রথম মেয়াদে তিনি যে কট্টর ইসরায়েলপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেছিলেন তা তিনি পরিবর্তন করবেন কিনা সে সম্পর্কেও কিছু বর্ণনা দিয়েছেন।

তবে ট্রাম্পকে বিশ্বাস করা মুশকিল। এরপরেও লুকমানের মতো আরব-আমেরিকানরা ট্রাম্পকে সমর্থন স্রেফ ইসরায়েলের নৃশংসতার জন্য বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনকে দায়বদ্ধ করতে।

লুকমান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে একটি গণহত্যার শাস্তি কখনো হবে না। আমার জন্য, এর জন্য কখনই দ্বিতীয় মেয়াদে পুরস্কৃত করা উচিত নয়। এই নির্বাচনের পরে ওয়াশিংটন, ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানদের কাছে আমার বার্তা হচ্ছে, বাইডেন যা করেছে আপনিও যদি তা করেন তবে আপনাকে পুরস্কৃত করা হবে না।’

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়