ঢাকা     বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ২২ ১৪৩১

এবার কী হবে জেলেনস্কির?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ৬ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৭:০৭, ৬ নভেম্বর ২০২৪
এবার কী হবে জেলেনস্কির?

নির্বাচনের আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর মহাখাপ্পা ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর জন্য জেলেনস্কিকেই দায়ী করেছিলেন ট্রাম্প। এ কারণে জেলেনস্কিও ট্রাম্পের কাছে খুব একটা ঘেষতেন না। মার্কিন নির্বাচনে জেলেনস্কি ডেমোক্রেট শিবিরেরই জয় কামনা করেছিলেন তা আভাস পাওয়া গিয়েছিল। 

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী দাবি করেছেন ট্রাম্প। ডেমোক্রেট প্রতিদ্বন্দ্বি কমলা হ্যারিস ইলেকটোরাল ভোটের ব্যবধানে ট্রাম্পের কাছে বেশ পিছিয়েই আছেন। অনানুষ্ঠানিকভাবে বলাই যায়, নির্বাচনে ট্রাম্প জিতে গেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছে, জেলেনস্কির এবার কী হবে?

সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ইতিহাসের সেরা বিক্রয়কর্মী বলে বর্ণনা করেছিলেন। কারণ ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা নিয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘প্রতিটিবার তিনি (জেলেনস্কি) যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, ছয় হাজার কোটি মার্কিন ডলার জিতে চলে যান।’

আরো পড়ুন:

ট্রাম্প জেলেনস্কির বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগও তুলেছেন এবং তিনি সাফ জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে শান্তি চুক্তির জন্য কিছু ভূমি রাশিয়ার কাছে ছাড় দিতে হতে পারে। তবে কিয়েভের কাছে বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত। তবে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন এই প্রস্তাবে রাজী না হলে ট্রাম্প হয়তো ইউক্রেনকে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন। আর যদি ঘটনা এমনটাই ঘটে তাহলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বড় ধরনের ধাক্কা খাবে ইউক্রেন।

জেলেনস্কিও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক উদ্বিগ্ন। এ কারণে নির্বাচনের আগেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বড় অংকের আর্থিক সহায়তা চেয়েছিলেন সেপ্টেম্বরে। ট্রাম্পের বিজয়ের খবরে তিনি এবার তার মন ভজাতে অভিনন্দন জানিয়ে এক্স-এ দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন।

জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘আমি সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে আমাদের দুর্দান্ত বৈঠকের কথা স্মরণ করছি, যখন আমরা ইউক্রেন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অংশীদারিত্ব, বিজয় পরিকল্পনা এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসন বন্ধ করার উপায় নিয়ে কথা বলেছি। বৈশ্বিক বিষয়ে ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ পদ্ধতির প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিকে আমি প্রশংসা করি। এটি ঠিক সেই নীতি যা কার্যত ইউক্রেনে শুধু শান্তি আনতে পারে। আমি আশাবাদী যে আমরা একসাথে এটি কার্যকর করব।

আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তমূলক নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুগের অপেক্ষায় আছি। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনের জন্য অবিরত শক্তিশালী দ্বিদলীয় সমর্থনের উপর নির্ভর করি।....আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউক্রেনের কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনার অপেক্ষায় আছি।’

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়