ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা ও দণ্ডের কী হবে
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট হলেন, যখন তার বিরুদ্ধে আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নিউ ইয়র্কের আদালতে একটি আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প। পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তার মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই টাকা দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক সংস্থার নথিপত্রে জালিয়াতি করেছিলেন। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাকে। আগামী ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাজা হওয়ার কথা রয়েছে।
কিন্তু গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপগুলোতে এবার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, নিউ ইয়র্কের মামলায় ট্রাম্পের আইনজীবীরা সম্ভবত সাজা দেওয়ার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন। এ ক্ষেত্রে তারা হয়তো যুক্তি দেখাবেন, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে সাজা দেওয়া উচিত হবে না।
এদিকে জর্জিয়া ও ফ্লোরিডার আদালতেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দুটি মামলা রয়েছে।
জর্জিয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনে ফলাফলে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে মামলা রয়েছে। ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি বেইআইনিভাবে রাখার অভিযোগে মামলা রয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব মামলার ভবিষ্যত কী হবে জানতে চাইলে ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি স্কুল অফ ল-এর অধ্যাপক ফ্র্যাঙ্ক বোম্যান আল জাজিরাকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের হাতে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তিনি... মূলত, বিচার ব্যবস্থাকে তার বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলো খারিজ করার আদেশ দিতে পারেন।’
বোম্যান বলেন, ‘আমার ধারণা, ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি অনুসারে এটি করবেন। অদূর ভবিষ্যতে তাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাগুলো থাকবে না।’
আল জাজিরা বলছে, এমনকি ট্রাম্প এমনটি না করলেও, একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মার্কিন বিচার বিভাগের মামলা না করার নীতি রয়েছে।
/ফিরোজ/