অ্যারিজোনাতেও বিজয়ী ট্রাম্প, জিতলেন সবগুলো সুইং স্টেট
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যেও বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে তিনি সাতটি সুইং স্টেটের সব কটিতেই জয় পেলেন।
আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে গত মঙ্গলবার একযোগে ভোটগ্রহণ চললেও, বুধবার ভোটের ফলাফল ঘোষণার সময় সবার নজর ছিল সুইং স্টেটের দিকে। কারণ বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যেই কে এগিয়ে, সেটি সমর্থনের ভিত্তিতে ও জরিপের মাধ্যম আগেভাগে ধারণা করা যায়। কিন্তু সুইং স্টেটগুলোতে ভোটাররা ডেমোক্র্যাটিক নাকি রিপাবলিকানদের পক্ষে যাবেন তা অনুমান করা কঠিন।
৭টি সুইং স্টেটের মধ্যে গত বুধবার ৫টির ভোট গণনা শেষ হয়। সেসময় জানা যায়, উত্তর ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও মিশিগান- ৫টিতেই বিজয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। বাকি ছিল নেভাদা ও অ্যারিজোনার ফলাফল।
গত শুক্রবার নেভাদার ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন। বাকি থাকে কেবল অ্যারিজোনার ফলাফল। গতকাল শনিবার এই সুইং স্টেটটিও ডেমোক্র্যাটদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেন ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলপ্রকাশ সমাপ্ত হলো।
বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প সাত কোটি ৪৬ লাখ ভোট বা মোট ভোটের ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ পেয়েছেন। আর ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসে পেয়েছেন সাত কোটি নয় লাখ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ৪৮ শতাংশ পেয়েছেন তিনি।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ভোটের হিসাবে। অ্যারিজোনায় জিতে যাওয়ায় মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ৩১২টি এলো রিপাবলিকানদের ঝুলিতে। অন্য দিকে, ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬ ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ভোট। হোয়াইট হাউসে পৌঁছাতে ন্যূনতম ২৭০ ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ভোটের প্রয়োজন হয়।
২০২০ সালে জো বাইডেন নর্থ ক্যারোলাইনে বাদে বাকি ছয়টি সুইং স্টেটে ট্রাম্পকে হারিয়েছিলেন। সে সময় বাইডেন ইলেক্ট্রোরাল ভোটের মধ্যে ৩০৬টি পেয়েছিলেন। আর ট্রাম্প পেয়েছিলেন ২৩২টি। আবার ট্রাম্প ২০১৬ সালে যখন জিতে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখন তিনি ৩০৬টি ভোটই পেয়েছিলেন।
আর এ বছর ৩১২টি ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ভোট জিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।
/ফিরোজ/