ট্রাম্পের প্রতিশোধের আশঙ্কায় কংগ্রেসের সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তারা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘প্রতিশোধের শিকার’ হতে পারেন কংগ্রেসের এমন সদস্য এবং অন্যান্য মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। তারা ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফেরার পর গ্রেপ্তারের সম্ভাবনার মতো চরম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই কংগ্রেস সদস্য যারা ট্রাম্প এবং তার নীতির এজেন্ডা নিয়ে সমালোচনায় সোচ্চার ছিলেন তারা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, তারা এবং তাদের সহকর্মীরা ‘কিছু সুন্দর পরাবাস্তব এবং দুঃস্বপ্নের পরিস্থিতির’ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা ফেডারেল সরকারের বর্তমান এবং প্রাক্তন সদস্যদের মাধ্যমে জালিয়াতি তদন্ত বা কর অডিট থেকে শুরু করে ট্রাম্পের প্রতিশোধের বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত সহিংসতার শিকার হতে পারেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান জ্যারেড হাফম্যান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্পষ্ট সমালোচক নাভালনির উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমি আশা করি আমার ডেমোক্রেটিক সহকর্মীরা কেউই আলেকজান্ডার নাভালনির আমেরিকান সহকর্মী হয়ে উঠবেন না। হাউসে আমার সহকর্মীরা) সশস্ত্র বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরক্ষার কথা ভাবছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হতে পারে। তাদের এমনভাবে নিজেদের রক্ষা করার জন্য পারিবারিক পরিকল্পনা থাকতে হবে যেগুলো সম্পর্কে আমি প্রকাশ্যে কথা বলতেও পছন্দ করি না...।’
তিনি বলেন, ‘আমার অনেক সহকর্মী তাদের এবং তাদের পরিবার ও কর্মীদের প্রতি ক্রমাগত হিংসাত্মক হুমকির মধ্যে বসবাস করছে... এটি অন্ধকার সময়। আমাদের সবার চোখ খোলা আছে।’
নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টগুলোতে ট্রাম্প যাদের মধ্যে হিংসাত্মক বক্তব্য ছড়িয়েছিলেন,তাদের মধ্যে কংগ্রেসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, সিনেটর অ্যাডাম শিফ, বিশেষ প্রসিকিউটর জ্যাক স্মিথ, সাবেক রিপাবলিকান লিজ চেনি এবং এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমি। ট্রাম্প বলেছেন, এসব লোকদের গ্রেপ্তার করা উচিত এবং রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যান্য অপরাধের জন্য বিচার করা উচিত।
ঢাকা/শাহেদ