চার্লসের রাজ্যাভিষেকের খরচ ৭ কোটি পাউন্ড
২০২৩ সালের মে মাসে ব্রিটেনের রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেকের জন্য খরচ হয়েছিল সাত কোটি ২০ লাখ পাউন্ড। এই অর্থের পুরোটাই গেছে করদাতাদের পকেট থেকে। তবে প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে রাজতন্ত্রবিরোধী গ্রুপ জানিয়েছে, প্রকৃত খরচ আরো অনেক বেশি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অনুষ্ঠানের পুলিশি নিরাপত্তার জন্য খরচ হয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ পাউন্ড। এর বাইরে সংস্কৃতি, সংবাদমাধ্যম এবং ক্রীড়া বিভাগের জন্য খরচ হয়েছে পাঁচ কোটি তিন লাখ পাউন্ড।
ব্রিটেনের প্রায় দুই কোটি মানুষ টিভিতে চার্লসকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে মুকুট পরতে দেখেছেন। তবে এর আগের বছর রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য দেখেছিলেন দুই কোটি ৯০ লাখ মানুষ।
রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন এবং পরের রাতে উইন্ডসর ক্যাসেলে তারকাদের নিয়ে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
রাজতন্ত্রবিরোধী গ্রুপ রিপাবলিক এই অভিষেক অনুষ্ঠানকে করদাতাদের অর্থ অপচয়ের ‘নোংরা দৃশ্য।’
প্রকৃত খরচ আরো বেশি হতে পারে জানিয়ে রিপাবলিকের প্রধান নির্বাহি গ্রাহাম স্মিথ গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘সাত কোটি ২০ লাখ পাউন্ড খরচ হলে আমি অবাক হব।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, লন্ডনের জন্য পরিবহন, ফায়ার ব্রিগেড এবং স্থানীয় কাউন্সিলগুলোও রাজ্যাভিষেকের সাথে সম্পর্কিত খরচ বহন করেছে। সব মিলিয়ে রাজ্যাভিষেকে ১০ কোটি থেকে ২০ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড খরচ হয়ে থাকতে পারে বলে জানান গ্রাহাম।
তিনি বলেন, ‘যখন সাংবিধানিক ভূমিকা নেই বা আইনে রাজ্যাভিষেকের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই এবং যখন আমরা প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে কাটছাঁটের মুখোমুখি তখন একজন ব্যক্তির কুচকাওয়াজের জন্য এই অর্থ ব্যয় অনেক বেশি।’
ঢাকা/শাহেদ