ঢাকা     রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১২:৩৫, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমন

নিউ ইয়র্কের আদালতে ঘুষ ও প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এবার একই মামলায় ভারতীয় ধনকুবের, আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান গৌতম আদানি ও তার ভাগ্নে সাগর আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।

রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ২২০০ কোটির ঘুষ মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে ২১ দিনের মধ্যে এই নোটিশে সাড়া দিতে বলা হয়েছে গৌতম এবং সাগর আদানিকে। শনিবার আহমেদাবাদে এই দুই ধনকুবেরের বাড়িতে এসে পৌঁছায় সমনের চিঠি।

নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ২১ নভেম্বর দুই অভিযুক্তকে সমনের ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আইন মোতাবেক সমনের চিঠি পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে পাল্টা জবাব দিতে হবে সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশনকে। চিঠি পাওয়ার পরদিন থেকেই সময় গণনা হবে। আত্মপক্ষ সমর্থনে যা বলার তা জানাতে হবে আদালতকেও।

গত বুধবার সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য চুক্তি পেতে ভারত সরকারের শীর্ষকর্তাদের ২৬.৫ কোটি ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনিয়োগকারীদের থেকে এই টাকা তুলে ঘুষ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি মার্কিন বিচার বিভাগের। 

মার্কিন বিচার বিভাগের মতে, ২০২১ সালের জুলাই এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদেরকে ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের লাভজনক চুক্তি পেয়েছিল আদানি। এই চুক্তিগুলো থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জনের আশা করা হয়।

এই মামলা প্রসঙ্গে আদানির মুখপাত্র ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আদানি গ্রিনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন এবং আমরা তা অস্বীকার করছি।”

আদানির মুখমাত্র জানান, অভিযোগের মোকাবেলা আইনিভাবে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, আদানি ইস্যুতে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেছেন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী অংশীদারিত্ব। তার প্রত্যাশা, সম্পর্কে অবনতি হয় এমন কিছুর আগেই এটি সমাধান করা যাবে। 

ঢাকা/ফিরোজ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়