ওড়িশায় ‘দেহব্যবসায়ীদের’ খপ্পর থেকে ২৩ বাংলাদেশি নারী উদ্ধার
ভারতের স্মার্ট শহর হিসেবে খ্যাত ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বর। এখানে বাংলাদেশি নারীদের আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হওয়ার পর শহরটি ভয়াবহ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে।
আজ রোববার ওড়িশা টিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওড়িশা পুলিশের সাম্প্রতিক একটি তদন্ত অনুসারে, বাংলাদেশের অন্তত ২৩ জন নারী এই শহরে পরিচালিত এই অবৈধ যৌন ব্যবসায় আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে।
এই নারীরা মানব পাচারের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদেরকে ভুবনেশ্বরে চাকরির প্রতিশ্রুতির প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। দৈনিক ২০০০ রুপি মজুরি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে এখানে আসার পরে তারা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, তা ছিল শোষণ ও পতিতাবৃত্তির জীবন।
‘দেহব্যবসায়ীদের’ খপ্পর থেকে বাংলাদেশি এই নারীদের উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। পতিতাবৃত্তির অপরাধে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওড়িশা টিভির খবর বলছে, কটকের লিংক রোডের কাছে বাংলাদেশের অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়েকে উদ্ধার করার পর, মানব পাচার ও যৌন ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী এই নেটওয়ার্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই নারীদের কীভাবে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং ওড়িশায় আনা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া আরেক বাংলাদেশি নারী তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন। তিনি পরিস্থিতিটিকে একটি সংগঠিত যৌন নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ওড়িশা টিভির প্রতিবেদন বলছে, এই ঘটনা এই যৌন নেটওয়ার্ক পরিচালনাকারী কিছু মাস্টারমাইন্ডের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বছরের পর বছর ধরে এসব নারীকে বন্দী করে রাখার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। কর্তৃপক্ষ এই নিপীড়নমূলক কাঠামো ভেঙে ফেলার এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওড়িশা টিভিকে ভুবনেশ্বরের ডিসিপি পিনাক মিশ্র বলেন, “আমরা টুইন সিটিতে এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের উপর নজর রাখছি। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। কেউ এ ধরনের বেআইনি কাজে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/ফিরোজ