ঢাকা     বুধবার   ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৬ ১৪৩১

দুবাইয়ের ভিসা পেতে হিমশিম খাচ্ছেন ভারতীয়রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৩:০৮, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
দুবাইয়ের ভিসা পেতে হিমশিম খাচ্ছেন ভারতীয়রা

ভারতীয় পর্যটকদের ভিসা দেওয়া কমিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইয়ের নতুন আইনের কারণে ভারতীয়দের ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে বলে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, আগে ভারতীয়রা দুবাইয়ে যাওয়ার আবেদন করলেই ভিসা পেয়ে যেত। কিন্তু এখন অর্ধেকেরও বেশি আবেদনকারী ভিসা পাচ্ছে না। ভিসার আবেদন বাতিল হওয়ার কারণে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কারণ এর সঙ্গে হোটেল বুকিং ও ফ্লাইট বুকিংও বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছেন আবেদনকারীরা।

দুবাই সরকারের নতুন ভিসানীতি অনুযায়ী, একজন পর্যটককে তার হোটেলের রিজারভেশনের প্রমাণ, বিমানের টিকিট, রিটার্ন টিকিট, সব কিছুই তাদের ইমিগ্রেশন পোর্টালে আপলোড করতে হয়। এ ছাড়া দুবাই যাওয়ার মতো ব্যাংক ব্যালেন্স আছে কি না তা নিশ্চিত করতে হয়। পর্যটকের শেষ ৩ মাসের বেতনও দেখাতে হয়। ছাড়া ন্যূনতম ৫০ হাজার রুপিসহ ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্যান কার্ড নথি হিসেবে যুক্ত করতে হয়।

আরো পড়ুন:

বিহার ট্রাভেলসের পরিচালক ঋষিকেশ পূজারি ভিসা অনুমোদনের হারে নাটকীয় পরিবর্তন তু্লে ধরে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আগে দুবাইতে ৯৯ শতাংশ ভারতীয় ভিসা অনুমোদিত হয়ে যেত। তবে বর্তমানে খুব ভালো করে প্রস্তুত করা ভিসার নথিও বাতিল হয়ে যাচ্ছে দুবাইয়ের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে। অথচ আবেদনকারীরা এরই মধ্যে টিকিট কেনা ও হোটেল বুকিং বাবদ অর্থ খরচ করে ফেলেছেন। ভিসা না পাওয়ার কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”

তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “আমার সাম্প্রতিক দুজন গ্রাহককের কথাই বলি। তাদের মধ্যে এক গ্রাহকের চারজনের পরিবার ছিল এবং হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে আবেদনের যাবতীয় কার্যক্রম সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছিল। তারপরেও তারা ভিসা পাননি। এতে তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। একইভাবে, একক সদস্যের ভিসা প্রত্যাখান করা হলে ৩৫ জনের একটি দল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ব্যাপারটি দুঃখজনক।”

হাসমুখ ট্রাভেলসের পরিচালক বিজয় থাক্কার বলেন, “ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার প্রতিদিন ১-২ শতাংশ থেকে ৫-৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার দুজন গ্রাহক দুবাইয়ে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের নথি জমা দেওয়া সত্ত্বেও তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তারা ভিসা ফি বাবদ প্রায় ১৪ হাজার রুপি এবং বিমান টিকিট বাতিলের জন্য ২০ হাজার রুপি হারিয়েছে।”

প্যাসিও ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নিখিল কুমার বলেন, “আমার এক গ্রাহক যারা স্বামী-স্ত্রী দুবাইয়ের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। স্বামীর ভিসা অনুমোদিত হলেও, একই নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীর ভিসা হয়নি। অ-ফেরতযোগ্য বিমান টিকিটের কারণে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।”

ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, বিপুল সংখ্যক ভারতীয় যাত্রীরা এমন পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। পুনের একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, দুবাইয়ের নতুন ভিসানীতি অনুযায়ী আবেদন করার পরও তার এবং তার ভাইয়ের ভিসা প্রত্যাখান হওয়ার কারণে তাদের ৫০ হাজার রুপির অ-ফেরতযোগ্য ফ্লাইট বুকিং নষ্ট হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়