ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনের ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করার’ অঙ্গীকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৩:১০, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনের ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করার’ অঙ্গীকার

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল 

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বর্তমানে কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি। সাম্প্রতিক সময়ে তার সামরিক আইন ঘোষণাকে ঘিরে পদত্যাগ বা অভিশংসনের দাবি জোরালো হয়েছে। তবে, ইউন স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি এই চাপের মুখে পিছু হটবেন না এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে আকস্মিক এক ভাষণে ইউন গত সপ্তাহের সামরিক আইন ঘোষণার সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে দাবি করে বলেছেন, “এটি দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য করা হয়েছিল।”

আরো পড়ুন:

ইউন বলেছেন, “এটি একটি বৈধ পদক্ষেপ ছিল যা ‘গণতন্ত্রের পতন ঠেকানো’ এবং বিরোধী দলের ‘সংসদীয় একনায়কত্ব’ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিল।”

 

প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “বিরোধীরা আমাকে সরাতে মরিয়া। কিন্তু আমি শেষপর্যন্ত লড়াই করে যাব। কিছু শক্তি ও অপরাধী গোষ্ঠী দেশের সরকারকে অচল করে দিতে চাইছে। তারা সংবিধান ও দেশের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে বিপদের কারণ।”

প্রেসিডেন্ট আরো বলেছেন, “জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের শক্তি যথেষ্ট, তারা দানবের মতো সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চাইছে। বিরোধীরা বিপর্যয় চায়। তারা বলছে, সামরিক আইন চালু করাটা ছিল বিদ্রোহ ঘোষণার সামিল। কিন্তু সত্যিই কি তাই ছিল?”

এর আগে প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার সিদ্ধান্তে যারা অখুশি, তাদের কাছে তিনি ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনি যে কথা বলেছেন, তা আগের অবস্থানের থেকে আলাদা।

আগামী শনিবার পার্লামেন্টে দ্বিতীয় অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি হবেন প্রেসিডেন্ট ইউন। প্রথমটি অভিশংসন ভোটে তিনি জিতে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তিনি। কেননা, প্রথম ভোটে ক্ষমতাসীন দলের অধিকাংশই ভোট বয়কট করেছিল।

ইউনের দল প্রথমে চেয়েছিল, প্রেসিডেন্ট স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন। কিন্তু ইউন পরিষ্কার করেছেন, তিনি সরে দাঁড়াবেন না।

৩ ডিসেম্বরের সামরিক আইন ঘোষণা করেন ইউন যা কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। এর জন্য অপরাধমূলক তদন্তের অধীনে রয়েছেন ইউন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়