শুল্ক নীতি নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “যদি মার্কিন পণ্যের ওপরে কোনো দেশ শুল্ক বসায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও সেই দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা উচ্চ হারে শুল্ক বসাবে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই তারা আমাদের ওপর শুল্ক চাপাচ্ছে। তবে আমরা তাদের পণ্যে শুল্ক চাপাচ্ছি না।” তিনি নির্দিষ্ট করে ভারত এবং ব্রাজিলের কথা উল্লেখ করেন এই সময়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মার্কিন পণ্যর উপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে দিল্লি। এবার তা নিয়েই ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, “কর নিলে কর দিতেও হবে। বিষয়টি পারস্পরিক। ওরা আমাদের উপর শুল্কের পরিমাণ বাড়ালে, আমরাও তা-ই করব। ওরা যতটা শুল্ক বাড়াবে, আমাদের দিক থেকেও এই বৃদ্ধির হার একই রকম রাখা হবে। প্রায় সব বিষয়েই ওরা আমাদের উপর শুল্ক চাপাচ্ছে। কিন্তু, মার্কিন প্রশাসনের তরফে এমনটা কখনোই করা হয়নি।”
চিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি কী হতে চলেছে? সোমবার এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প ভারত ও ব্রাজিলের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, একমাত্র ভারত আর ব্রাজিল একাধিক মার্কিন পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিয়েছে।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, “পারস্পরিক শব্দটির গুরুত্ব অপরিসীম। যদিও কেউ আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেয়, বদলে আমরা কিছুই করব না? ভারত ও ব্রাজিল শুল্কের পরিমাণ অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং, পাল্টা জবাবে আমরাও সেই একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এদিকে, ট্রাম্পের সুরে একই কথা বলেছেন তার নতুন প্রশাসনে বাণিজ্য সচিব হিসেবে মনোনীত হাওয়ার্ড লাটনিক। তার কথায়, “নতুন প্রশাসনের জন্যে পারস্পরিক সুবিধাদানের নীতি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আমাদের সঙ্গে যে যেমন ব্যবহার করবে, পাল্টা আমরাও তেমন ব্যবহার করব।”
কিছুদিন আগে কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার ভারত ও ব্রাজিলকে সতর্ক করলেন তিনি। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প।
ঢাকা/ফিরোজ