পানামা খাল যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী পানামা খাল দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলো থেকে অন্যায্য ফি আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এসব অন্যায্য ফিসের তীব্র সমালোচনা করে খালটির নিয়ন্ত্রণভার ওয়াশিংটনে ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, পানামা খাল ঘিরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের নৌবাহিনী ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর প্রতি খুবই অন্যায্য আচরণ করা হচ্ছে। পানাম কর্তৃপক্ষের নির্ধারণ করা ফি হাস্যকর। আমাদের দেশের সঙ্গে এমন প্রতারণা খুব শিগগিরই বন্ধ হবে।”
১৯১৪ সালে পানাম খালের কাজ শেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। ১১৯৭৭ সালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শাসনামলে এই খালের নিয়ন্ত্রণভার পানামার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে খালের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে মধ্য আমেরিকার দেশটি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পোস্টে বলেন, “পানামাকে নিজেদের মতো করে এটিকে পরিচালনা করতে হবে, চীন নয়, বা অন্য কেউ তা করবে না। আমরা কখনোই এটিকে ভুল হাতে পড়তে দিতে পারি না এবং তা দেবোও না।”
পোস্টে ট্রাম্প আরো বলেন, “যদি পানামা নিরাপদ, দক্ষ ও বিশ্বস্ত পরিচালনা নিশ্চিত করতে না পারে, তবে আমরা দাবি জানাব পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিভাবে আমাদের হাতে তুলে দিতে, কোনোরকম প্রশ্ন ছাড়াই।”
তবে পানামা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
বৈশ্বিক নৌপরিবহনের পাঁচ শতাংশই পানামা খাল দিয়ে হয়। এই খালের মাধ্যমে এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন হয়। যার ফলে এই দুই মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্ত ঘুরে যাওয়ার দীর্ঘ পথ এড়াতে সক্ষম হয় জাহাজগুলো। এই নৌ প্যাসেজটি বেশি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। গত অর্থবছরে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ এখান থেকে ৫০০ কোটি ডলারেরও বেশি রাজস্ব আয় করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ