ভারত সীমান্তে বাঁধ নির্মাণ করছে চীন
জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে তিব্বতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে চীন। এই বাঁধ তৈরি করতে খরচ হবে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, সরকার ইয়ারলুং জাংবো নদীর (ব্রহ্মপুত্র) নিম্নাংশে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে।
বাঁধ নির্মাণ হয়ে গেলে এখানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎকেন্দ্র চীনের থ্রি গর্জেস বাঁধের চেয়ে তিনগুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। তবে এই প্রকল্পের জেরে তিব্বতে ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের পানি পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে।
ইয়ারলুং জাংপো নদীটি গলিত হিমবাহ এবং পাহাড়ের ঝরনা থেকে উৎপত্তি হয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতে এই নদীটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত।
ব্রহ্মপুত্র বাঁধটি চীনের ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অংশ ছিল (২০২১-২০২৫) এবং চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মূল নীতি নির্ধারক সংস্থা প্লেনাম অনুমোদিত। এই বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২০ সালে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ কোম্পানি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অব চায়নার দেয়া একটি অনুমান থেকে এই তথ্য জানা যায়।
বাঁধটি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ রয়েছে। কারণ বাঁধটি চীনকে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতায়নের পাশাপাশি এর আকার এবং মাত্রা বেইজিংকে শত্রুতার সময়ে প্রচুর পরিমাণে পানি সীমান্ত এলাকায় ছেড়ে দিতে সক্ষম করতে পারে।
জুলাই ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির আইনপ্রণেতা এনিনং এরিং বলেছিলেন, “আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে বিশ্বাস করতে পারি না। আপনি কখনই জানেন না তারা কী করতে পারে। তারা হয় আমাদের পুরো নদীর প্রবাহকে সরিয়ে দিয়ে সিয়াংকে শুস্ক করতে পারে বা একবারে পানি ছেড়ে দিতে পারে যার ফলে অভূতপূর্ব বন্যা এবং ভাটির দিকে বিপর্যয় ঘটবে।”
ঢাকা/শাহেদ