পাখির আঘাতেই কি দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বিধ্বস্ত?
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে যাত্রীবাহী একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত ১৭৯ জন আরোহী নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর)জেজু এয়ারের ২২১৬ ফ্লাইটটি ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু সদস্য নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়া ফিরেছিল। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়োরে পাখি ঢুকে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।
দক্ষিণ কোরিয়ার একজন পরিবহণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করছিল। কিন্তু বিমান ট্রাফিক কন্ট্রোল পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের সতর্কবার্তা দেওয়ার পরে এটি আকাশে চক্কর কাটছিল। প্রায় দুই মিনিট পরে বিমানের পাইলট জরুরি অবতরণের জন্য ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে আরজি জানায়। এয়ার ট্রাফিক কমান্ড বিমানটিকে বিমানবন্দরের বিপরীত দিক থেকে অবতরণের অনুমতি দেয়।
অবতরণের আগে ফ্লাইটের একজন যাত্রী তার আত্মীয়কে ফোনে পাঠানো বার্তায় বলেছিলেন, একটি পাখি ‘ডানায় আটকে গেছে’ এবং বিমানটি অবতরণ করতে পারছে না।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি তার চাকা বা অন্য কোনো ল্যান্ডিং গিয়ার ব্যবহার না করেই রানওয়ে স্পর্শ করছে। এটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং একটি দেয়ালে বিধ্বস্ত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ১৪টি আঞ্চলিক বিমানবন্দরের মধ্যে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাখির আঘাতের সর্বোচ্চ হার রেকর্ড করেছে। কোরিয়া বিমানবন্দর কর্পোরেশনের পার্লামেন্টে জমা দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৯ থেকে চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে এ ধরনের ১০টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাখির আঘাত সর্বনাশা হতে পারে। মাঠ এবং উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি অবস্থানের কারণে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঝুঁকি বিশেষভাবে বেশি।
মুয়ান ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান লি জিওং-হিউন একটি টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন পাখির আঘাত এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে সঠিক কারণটি জানতে এখনো তদন্ত করা হচ্ছে। বিমান থেকে ফ্লাইট ও ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ