ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির একটি আদালত। গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করার প্রচেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার দেশটির যৌথ তদন্ত দলগুলোর সদর দপ্তর থেকে সিউল ওয়েস্টার্ন ডিসট্রিক্ট আদালতে ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। এরপরেই আদালত ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন। ইউনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত চলছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে যৌথ তদন্ত দলগুলোর সদর দপ্তর বলেছে, আজ সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ও তল্লাশি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে দেশটির কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো ইউনকে আটকের প্রথম পদক্ষেপ নিলো। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ ইউনকে কবে হেফাজতে নিবে- সেই সম্পর্কে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। এর জেরে ইউন সুক ইওলকে ইমপিচ বা অভিশংসন করে দেশটির পার্লামেন্ট।
এরপর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শেষমেশ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো।
এদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারীরা পরোয়ানাটি কার্যকর করতে পারবেন কিনা তা অনিশ্চিত, কারণ ইউনের নিরাপত্তা দল এবং প্রতিবাদকারীরা তাদের বাধা দিতে পারেন। গত দুই সপ্তাহে ইউন ৩টি সমন উপেক্ষা করেছেন।
অতীতে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করেছে যখন তাদের সহায়ক এবং সমর্থকরা শারীরিকভাবে পুলিশকে বাধা দিয়েছে।
সোমবার ইউনের আইনি দল জানিয়েছে, তদন্তকারীদের তাকে গ্রেপ্তার করার কোনো কর্তৃত্ব নেই। কারণ মার্শাল ল ঘোষণা করা সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে।
ইউন তার মার্শাল ল ঘোষণার সিদ্ধান্তকে আগেও সমর্থন করেছেন। ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করার’ অঙ্গীকার করেছেন তিনি। অবশ্য তিনি বলেছেন, আইনগত ও রাজনৈতিক দায়িত্ব এড়াবেন না তিনি ।
তার আইনজীবী ইউন গ্যাপ-গিউন বলেছেন, আগের তিনটি সমন মেনে না চলার কারণ ছিল ‘বৈধ উদ্বেগ’।
ইউনের অবস্থান জানা যায়নি। তবে তার বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর সংসদ সদস্যদের ভোটে ইউন বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রয়েছেন। তবে তাকে শুধু দেশের সাংবিধানিক আদালত তার অভিশংসন বহাল রাখলে পদ থেকে সরানো যাবে।
ঢাকা/ফিরোজ