ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ১৯ ১৪৩১

বাংলাদেশিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিলেন ভারতের আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৫:৪০, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিলেন ভারতের আদালত

ভারতের বেঙ্গালুরুতে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) একটি বিশেষ আদালত এক বাংলাদেশিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত ওই বাংলাদেশির নাম জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রচারের অভিযোগে তাকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

এনআইএ’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহিদুল ইসলাম জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার (জেএমবি - ইন্ডিয়া) নির্দেশে ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রচার করছিলেন।

আরো পড়ুন:

জাহিদুল ইসলামকে ডাকাতি, ষড়যন্ত্র এবং তহবিল সংগ্রহের অপরাধের পাশাপাশি ভারতে সন্ত্রাসী অভিযানকে আরো এগিয়ে নিতে গোলাবারুদ সংগ্রহ সংক্রান্ত মামলায় ৫৭ হাজার রুপি অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডে বলছে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় একটি বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্তের সময় এনআইএ’র কলকাতা শাখা অফিসের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ প্রথমে একটি মামলা দায়ের করেছিল। পরবর্তীতে এনআইএ একটি মামলা দায়ের করে এবং সংশ্লিষ্ট ডাকাতির মামলাগুলোর সঙ্গে বিষয়টির তদন্ত শুরু করে।

এনআইএ’র তদন্ত অনুসারে, ২০০৫ সালে বাংলাদেশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের হেফাজতে ছিলেন জাহিদুল। তিনি জেএমবির প্রধান সালাউদ্দিন সালেহীনের সঙ্গে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। আত্মগোপনের সময় জাহিদুল এবং তার সহযোগীরা ২০১৪ সালের অক্টোবরে বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায়ও জড়িত ছিলেন। বিস্ফোরণের পর তিনি বেঙ্গালুরুতে পালিয়ে যান। 

এনআইএ’র তদন্তে আরো জানা যায়, বেঙ্গালুরু থেকেই জাহিদুল জেএমবির ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম থেকে যুবকদের নিয়োগ করেছিলেন। এনআইএ  দাবি করেছে, জাহিদুল এবং তার সহযোগীরা ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বোধগয়ায় বিস্ফোরণের জন্যও দায়ী ছিল।

এনআইএ’র তদন্ত অনুসারে, জাহিদুল ভারতে জেএমবির সন্ত্রাসী এজেন্ডা প্রচারের জন্য ডাকাতির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের ষড়যন্ত্রও করেছিল। ২০১৮ সালে তারা তাদের এজেন্ডার অংশ হিসাবে বেঙ্গালুরুতে চারটি ডাকাতি করেছে এবং লুট করা অর্থ গোলাবারুদ সংগ্রহ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য আস্তানা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য ব্যবহার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়