বৃষ্টি আর শীতে দুর্ভোগ চরমে গাজার বাসিন্দাদের
ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর দ্বিতীয় শীতকাল পার করছে গাজার বাসিন্দারা। একদিকে ইসরায়েলি হামলা, ত্রাণের অভাব আরেকদিকে আকস্মিক বৃষ্টির কারণে পানি প্রবেশ করেছে শিবিরের তাবুগুলোতে। এ ঘটনায় দুর্ভোগ চরমে উঠেছে অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের।
গাজার দেইর আল বালাহ এলাকার আশেপাশে কয়েক ডজন তাঁবু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ইতিমধ্যেই কয়েক মাসের ব্যবহারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে, প্রবল বাতাস এবং বৃষ্টিতে উড়ে গেছে বা প্লাবিত হয়েছে। পরিবারগুলো ক্ষতি মেরামত করতে, পলিথিনের টুকরো ব্যবহার করছে এবং পানি আটকে রাখার জন্য বালি জমানোর জন্য চেষ্টা করছে।
তিন সন্তানের মা সাবরিন আবু শানব বলেন, “মেট্রেস ও আমার বাচ্চাদের জামাকাপড়ের ভিতরে এবং সেখানে পানি ঢুকে গেছে।”
তিনি বলেন, “তারা ঘুমিয়ে ছিল এবং তাদের অন্তর্বাস ভিজে গিয়েছিল। আমি হলফ করে বলছি। প্যান্ট ও আন্ডারওয়্যার (সবই ভিজে গেছে)। সবকিছু ভিজে গেছে, কম্বল, বালিশ, সবকিছু।”
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ভারী বর্ষণে কেন্দ্রীয় দেইর এল-বালাহ এবং দক্ষিণ আল-মাওয়াসিতে কয়েক ডজন তাঁবু প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি, বজ্রঝড় এবং তাপমাত্রা কমে যাওয়া গাজা উপত্যকাজুড়ে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা বাড়িয়ে তুলছে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর অনুমান, প্রায় ১৬ লাখমানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ে বাস করছে যা তাদের শীতের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে না এবং প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বন্যাপ্রবণ এলাকায় বাস করছে।
গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপত্যকতার লোকজন যে এক লাখ ৩৫ হাজার তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার জরাজীর্ণ এবং ব্যবহারের উপযোগী নয়।
ঢাকা/শাহেদ