হিন্দু নয়, মুসলমানরাই ঢুকছে ভারতে, দাবি আসামের মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন, “বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে যে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে, তার বেশিরভাগই সেখানকার সংখ্যাগুরু (মুসলিম) সম্প্রদায়ের। তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নয়।”
তার দাবি, “বাংলাদেশের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরাই অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসাম হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুতে একই সেক্টরে কাজের জন্য যেতে চায়।”
বুধবার (১ জানুয়ারি) ভারতের গুয়াহাটিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে হিমন্ত শর্মা বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সেখানকার পোশাক শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে প্রতিবেশী দেশটিতে সংখ্যাগুরু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যারা আমাদের ভারতে সংখ্যালঘু, তারা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করছেন। তাদের উদ্দেশ্য আসাম হয়ে তামিলনাড়ু গিয়ে একই সেক্টরে (পোশাক তৈরির কারখানায়) কাজ করা। তামিলনাড়ুর পোশাক কারখানার মালিকরাও সস্তায় শ্রমিক পাওয়ার জন্য সেসব অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে আসতে উৎসাহিত করছে।”
আসামের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “এটা হয়তো সত্যি যে অতীতে হিন্দুরা বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে ভারতে এসেছিল, কিন্তু এখন তারা আসছে না। গত পাঁচ মাসে কোন বাংলাদেশি হিন্দুই আসামে প্রবেশ করেনি। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা যথেষ্ট দেশপ্রেমিক। সেখানকার হিন্দুরা যথেষ্ট পরিপক্ক আচরণের পরিচয় দিয়েছে। নিজের দেশ ছেড়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারতে চলে আসার ব্যাপারে আমাদেরও উৎসাহিত করা উচিত নয়।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের বসবাসের সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়ছে। গত পাঁচ মাসে প্রতিদিন ২০-৩০ জন মানুষ অবৈধভাবে আসাম এবং ত্রিপুরায় প্রবেশের চেষ্টা করছে।”
এক্ষেত্রে আসাম রাজ্য সরকার সেসব অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার না করে তাদেরকে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে বলেও জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
ঢাকা/সুচরিতা/এসবি