সিরিয়ার স্কুল পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন, সমালোচনা পশ্চিমাপন্থিদের
সিরিয়ার নতুন সরকার স্কুল পাঠ্যক্রমের বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের সমালোচনা করছে পশ্চিমা মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলো। তাদের ভাষ্য, এর মাধ্যমে ইসলামিক পাঠ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সংশোধনীর একটি তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ‘ভালো পথ’ শব্দগুচ্ছ পরিবর্তন করে ‘ইসলামিক পথ’, এবং ‘যারা অভিশপ্ত এবং বিপথগামী হয়েছে’ বাক্যাংশকে পরিবর্তন করে ‘ইহুদি ও খ্রিস্টান’ রাখা হয়েছে। নতুন তালিকায় ‘শহীদ’ শব্দটিকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, যিনি স্বদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন- এর পরিবর্ত, শহীদের অর্থ যিনি ‘আল্লাহর জন্য প্রাণ দিয়েছেন’ করা হয়েছে।
নতুন পাঠ্যক্রমে কিছু অধ্যায় সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া অংশের মধ্যে ‘জীবনের উৎপত্তি এবং বিবর্তন’ অধ্যায়টিও রয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন দাবি করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা প্রশ্ন করেছেন কেন অন্তর্বর্তী সরকার পাঠ্যক্রমের সংশোধন করছে।
একজন ব্যবহারকারী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করেছেন, “বর্তমান সরকার একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার যার পাঠ্যক্রমের এই সংশোধনী করার অধিকার নেই। নতুন সংবিধান অনুযায়ী পাঠ্যক্রম সংশোধন করতে হবে।”
তবে সিরিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কিছু ‘অশুদ্ধ’ সংশোধন করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যা আসাদ সরকারের সময় ইসলামিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমে উপস্থিত ছিল, যেমন- ‘কুরআনের কিছু ভুল ব্যাখ্যা।’
ঢাকা/শাহেদ