এবার ভারতেও এইচএমভিপি ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত
চীনে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ভাইরাসটি জাপান ও মালয়েশিয়াতেও এরই মধ্যে হানা দিয়েছে।
আর এবার ভারতে এইচএমপিভি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে একটি তিন মাসের ও একটি আট মাসের শিশুর দেহে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়েছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
আইসিএমআর জানায়, বেঙ্গালুরুর ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিউমোনিয়ার লক্ষণ নিয়ে আসা দুই শিশুর মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্টে এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে রয়েছে তিন মাসের এক শিশু কন্যা এবং আট মাসের এক শিশু পুত্র।
শিশু দুটিকে ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। চিকিৎসার পর তিন মাসের শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি আট মাসের শিশুটির রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাকে হাসপাতালে রেখে এখনও চিকিৎসা চলছে।
আইসিএমআর জানিয়েছে, দুই শিশুর মধ্যে কাউকেই সম্প্রতি দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ফলে কীভাবে তাদের শরীরে এই ভাইরাস ঢুকল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও সোমবার দুপুরে একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। রাজ্যবাসীকে অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন কর্নাটকের স্বাস্থ্যসচিব হর্ষ গুপ্তা।
চীনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণের কোনো সংযোগ নেই বলে দাবি করেছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কার হয়। বিবিসির খবর বলছে, সম্প্রতি চীনে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। মূলত ১৪ বছর বয়সের নিচের শিশু এবং বয়স্করা এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, করোনার সময়ে হাসপাতালে যেভাবে ভিড় তৈরি হয়েছিল, একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাবেও।
চীন সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এইচএমপিভি নতুন কিছু নয়। এর উপসর্গ অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। এটিকে শুধুমাত্র ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ বলেই ব্যাখ্যা করছে চিন। পাঁচ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশু, সদ্যজাত এবং ৬৫ বছরের উপরের বয়স্কদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
চীনে প্রতিনিয়ত এইচএমপিভি প্রকট হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা দেশটির সরকার সতর্কতা জারি করেনি।
ঢাকা/ফিরোজ