হাসপাতাল তৈরির অর্থ সংগ্রহে বাজারে গাজা-কোলা আনলেন ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী
ইসরায়েল হাসপাতালগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করায় গাজার স্বাস্থ্যসেবা ‘সম্পূর্ণ পতনের’ দ্বারপ্রান্তে। এই হাসপাতালগুলো পুনর্নির্মাণে কত সময় এবং কী পরিমাণ অর্থ লাগবে তা বলা এখনো অসম্ভব। তবে একজন ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী একটি কোমল পানীয় বিক্রির অর্থে গাজার স্বাস্থ্যখাতের একটি অংশ পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা করেছেন।
ওসামা কাশু নামের ওই ফিলিস্তিনির বাজারজাত করা পানীয়টির নাম গাজা কোলা। উত্তর গাজায় দাঁড়িয়ে থাকা আল কারামা হাসপাতাল পুনর্নির্মাণের জন্য সম্প্রতি লন্ডনে কোকা-কোলার বিকল্প হিসেবে তিনি নিয়ে এসেছেন গাজা কোলা।
৪৩ বছর বয়সী চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং মানবাধিকার আইনজীবী মতে, “গাজার এই সব হাসপাতালের মতো এটি কোন কারণ ছাড়াই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।”
কাশু আল কারামা হাসপাতালটিকে বেছে নিয়েছে কারণ, তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে, “এটি ছোট, এটি সহজে পরিচালনাযোগ্য, এটিতে অনেক অর্থ খরচ হবে না।”
কত অর্থ লাগবে বা কখন কাজ শুরু করা যেতে পারে সে সম্পর্কে তিনি সুস্পষ্ট ধারণা পাননি।
তবে কাশু বলেছেন, “আমাদের একটি কল্পনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ... আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে, অন্যথায় আমরা বাঁচতে পারি না।”
২০২৩ সালের নভেম্বরে কাশু গাজা কোলার বিষয়টি প্রথম ভেবেছিলেন। লাল ফিলিস্তিনি পতাকা, আরবি ক্যালিগ্রাফিতে লেখা ‘গাজা কোলা’ এবং ফিলিস্তিনি কাফিয়াহর উপর একটি প্যাটার্ন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পানীয়টির ক্যানে।
কাশু গাজা কোলাকে একটি বার্তার বাহন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
তিনি বলেন, “এই সব করপোরেট কোম্পানির জন্য একটি বিবৃতি যারা সশস্ত্র বাণিজ্যে বিনিয়োগ করছে। তাদের মর্যাদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা। তুমি কি দেখছ তোমার টাকা কি করছে? কারণ এটি ক্ষতি করছে। এটি বাড়িঘর এবং আমাদের পরিবেশকে ধ্বংস করছে... তাদের জেগে উঠতে হবে এবং তাদের বুঝতে হবে যে তাদের অর্থ, তাদের লোভ আমাদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে।”
ঢাকা/শাহেদ