চাদে প্রেসিডেন্ট ভবনে সশস্ত্র হামলা নস্যাৎ করেছে সেনাবাহিনী, নিহত ১৯
মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের রাজধানী এন’জামেনায় প্রেসিডেন্ট ভবনে হামলায় ১৮ বন্দুকধারী এবং একজন নিরাপত্তা কর্মীসহ অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ভবনে সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলার প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে।
চাদ সরকারের মুখপাত্র এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেরামান কৌলামুল্লাহ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “হামলাকারীদের মধ্যে ১৮ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন এবং আমাদের একজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।”
গুলি চালানোর কয়েক ঘন্টা পর, তার ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কোমরের বেল্টে বন্দুকসহ সৈন্যদল পরিবেষ্টিত কৌলামাল্লাহ বলেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, অস্থিতিশীলতার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে।
চাদে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সরকারি সফরের সময় এই হামলার ঘটনা ঘটল।
গুলাগুলির কয়েক ঘন্টা আগে, চাদের প্রেসিডেন্ট মাহমাত ইদ্রিস ডেবি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন।
কৌলামাল্লাহর মতে, হামলার সময় মাহমাত প্রেসিডেন্ট ভবনেই ছিলেন।
এফএফপিকে একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছিল, আক্রমণকারীরা বোকো হারাম জিহাদি গোষ্ঠীর সদস্য। কিন্তু কৌলামাল্লাহ পরে বলেন যে, তারা ‘সম্ভবত সন্ত্রাসী নয়’, তারা মাতাল ছিল।
রয়টার্সকে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাটি সম্ভবত একটি ‘সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা’ ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি জানায়, তিনটি গাড়িতে করে আসা ব্যক্তিরা প্রেসিডেন্ট ভবনের আশেপাশের সামরিক শিবিরগুলোতে আক্রমণ করেছিল, কিন্তু সেনাবাহিনী তাদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
২০২১ সালে বিদ্রোহীদের হামলায় প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ডেবির মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন ছেলে মাহমাত ইদ্রিস ডেবি। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে এক অভ্যুত্থানের পর থেকে ইদ্রিস ডেবি চাদ শাসন করছিলেন।
ঢাকা/ফিরোজ
