অর্থনীতিকে বাঁচাতে চীন যেভাবে রাইস কুকার ও ডিশ ওয়াশার ব্যবহার করছে
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ভোক্তা ব্যয় এবং শিল্প উন্নয়ন বাড়াতে পুরনো পণ্য বদলে নতুন পণ্য নেওয়ার কার্যক্রমের পরিধি বাড়িয়েছে চীন।
চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুরনো পণ্য বদলানোর ক্ষেত্রে ভর্তুকির যোগ্য গৃহস্থালি সরঞ্জামের সংখ্যা গত বছর আটটি ছিল। চলতি বছর তা বাড়িয়ে ১২টি করা হবে। প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকিও দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের নতুন সংযোজনগুলোর মধ্যে রয়েছে মাইক্রোওয়েভ ওভেন, পানির ফিল্টার, থালা-বাসন ধোয়ার মেশিন এবং রাইস কুকার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুরাতন পণ্য বিক্রি করা গ্রাহকরা ১৫-২০ শতাংশ ভর্তুকি পাবেন। ছয় হাজার ইউয়ানের (চীনা মুদ্রা) কম দামের সেলফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, স্মার্ট ঘড়ি এবং ব্রেসলেটে ১৫ শতাংশ ভর্তুকি থাকবে। সরকার ২০২৫ সালে এই কর্মসূচির জন্য ১১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।
চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনের (সিসিটিভি) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পুরনো পণ্য বদলানোর এ নীতির মাধ্যমে ৫৮ লাখ গাড়ি অদল-বদল করা হয়েছে। ৩ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি ক্রেতা পুরনো পণ্য বদলে ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি নতুন পণ্য কিনেছেন।
সিসিটিভি আরো জানিয়েছে, পুরনো পণ্য বদলানোর এই কার্যক্রমে বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা সংস্থা জানিয়েছে, এই প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যেই ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধিতে ‘দৃশ্যমান প্রভাব’ তৈরি করেছে। তবে, কিছু অর্থনীতিবিদ প্রশ্ন তুলেছেন যে এই প্রকল্পগুলো কি ভোক্তাদের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট হবে?
ঢাকা/শাহেদ