আরো বেশি ফেডারেল কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে আরো বেশি সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের নবগঠিত সরকারি কর্মদক্ষতা দপ্তরের (ডিওজিই) দায়িত্বপ্রাপ্ত ধনকুবের ইলন মাস্ক মন্ত্রীসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্প তাকে আরো বেশি কঠোর পদক্ষেপ নিতে ও সরকারি ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা নিয়ে মন্ত্রীসভায় আলোচনা করার অনুমতি দিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন একটি আদেশে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ১৩ মার্চের মধ্যে ‘ব্যাপক আকারে’ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। ইলন মাস্কের ডিওজিই দপ্তর এর আগে বেশ বড় আকারে ফেডারেল কর্মী ছাঁটাই ও বেশ কিছু সরকারি সহায়তা তহবিল বাতিল করায় বিভিন্ন সংস্থা বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখে রয়েছে। নতুন আদেশে ছাঁটাইয়ের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি।
এখন পর্যন্ত, প্রবেশনারি কর্মীরা বেশি ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন। নতুন আদেশের ফলে বেসামরিক অভিজ্ঞ কর্মীরাও ছাঁটাইয়ের মুখে পড়তে পারেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার প্রশাসক লি জেলডিন তার ১৫ হাজারেরও বেশি কর্মীর মধ্যে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছেন।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, মার্কিন মৎস্য ও বন্যপ্রাণী পরিষেবা এবং ভারতীয় বিষয়ক ব্যুরোর মতো সংস্থাগুলোকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইলন মাস্ক মন্ত্রিসভা-স্তরের কোনো সরকারি কর্মকর্তা নন এবং মার্কিন সিনেটের কোনো অনুমোদনের মুখোমুখি হননি। তারপরও ট্রাম্প তাকে মন্ত্রীসভার বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি মাস্ক ও কাজে সন্তুষ্ট।
বৈঠক মাস্ক জানান, তিনি ৬ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন বাজেট থেকে এ বছর ১ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কমাতে পারবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, মাস্কের এই ব্যাপক উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যের ফলে সম্ভবত সরকারি প্রকল্পগুলোতে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটবে।
মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে মাস্কের ডিওজিই দপ্তরের সঙ্গে কাজ করার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে সব ‘অপ্রয়োজনীয়’ চুক্তি পর্যালোচনা ও বাতিল করা হয়। এছাড়া সরকারের রিয়েল এস্টেট পরিচালনাকারী জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে যেকোনো অপ্রয়োজনীয় সম্পত্তি নিষ্পত্তি করার জন্য পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ