ঢাকা     বুধবার   ২৬ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১৩ ১৪৩১

ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে তেল কিনলেই শুল্ক আরোপ করবেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ২৫ মার্চ ২০২৫   আপডেট: ১৫:২৬, ২৫ মার্চ ২০২৫
ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে তেল কিনলেই শুল্ক আরোপ করবেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যে সব দেশ ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে খনিজ তেল বা প্রাকৃতিক গ্যাস কিনবে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

গতকাল সোমবার ট্রাম্প তার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে এ হুমকি দেন। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ওপরও নতুন শুল্ক আরোপ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। খবর এপির।

ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ভেনেজুয়েলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ‘খুবই শত্রুভাবাপন্ন’। ভেনেজুয়েলা থেকে তেল কিনলে ওই দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো ধরনের বাণিজ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে। আগামী ২ এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

আরো পড়ুন:

মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের ২০২৪ সালের বিশ্লেষণ অনুসারে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রভাবে চীনের ওপর আরোপির কর আরো বেড়ে যাবে। কারণ ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি খনিজ তেল কিনে থাকে চীন। বেইজিং ২০২৩ সালে ভেনেজুয়েলার রপ্তানিকৃত তেলের ৬৮ শতাংশ কিনেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভেনেজুয়েলা থেকে তেল গ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে স্পেন, ভারত, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনামও রয়েছে।

এমনকি ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও দেশটি থেকে তেল কিনে। আদমশুমারি ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলা থেকে ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আমদানি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই একাধিক দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বন্ধু দেশ হোক বা শত্রুপক্ষ, কাউকে ছাড় দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী করতেই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ওপর আগে থেকেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে দেশটির সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্য করতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন নিতে হয়। এমন কড়া নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার পরেও ভেনেজুয়েলার বাণিজ্যসঙ্গী দেশগুলোকে শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্ক আরোপ করছে ‘বিভিন্ন কারণের জন্য, যার মধ্যে একটি হলো ভেনিজুয়েলা কৌশলে ও প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার উচ্চ পর্যায়ের অপরাধী ও অন্যান্য অপরাধীদের গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে।

তিনি আরো জানান, সব নথিপত্র স্বাক্ষরিত ও নিবন্ধিত হবে এবং এই শুল্ক আগামী ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুক্তি দিবসে’ কার্যকর হবে। ট্রাম্প এই দিনটিকে বিশেষ উপাধি দিয়ে উল্লেখ করেন। কারণ তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, সেদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে, যা ওয়াশিংটনের মতে, অন্যায্য বাণিজ্য চর্চার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া। এরই মধ্যে তিনি চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক ফেন্টানিল প্রবাহ বন্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে এবং বাণিজ্য ভারসাম্যের অসঙ্গতির যুক্তি দেখিয়ে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়