বাংলাদেশে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে আদানি

বাংলাদেশে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার। আদানি ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের পুরো সক্ষমতা অর্থাৎ ১৬০০ মেগাওয়াটই বাংলাদেশে সরবরাহ শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের তরফ থেকে নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ করতে শুরুর পরই আদানি এই উদ্যোগ নিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে আদানি পাওয়ার। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে আবারো পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেছেন, “আমরা নিয়মিতভাবে আদানিকে অর্থ পরিশোধ করছি এবং আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি।” তবে তিনি পরিশোধের পরিমাণ এবং অতীতের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে কি না তা নির্দিষ্ট করে বলেননি।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, আদানি দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়েছে।
এদিকে এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর আদানি পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে, মুম্বাইতে ২% পর্যন্ত বেড়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত শেয়ারের দাম প্রায় ৫% কমেছে।
ইকোনমিক টাইমস বলছে, গ্রীষ্ম মৌসুমে বাংলাদেশজুড়ে গড় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার আশপাশেই থাকে। এই অবস্থায় আদানির সরবরাহ পুনরুদ্ধার হওয়ায় তীব্র গ্রীষ্মের মাসগুলোতে বাংলাদেশে লোডশেডিং অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে।
এদিকে, বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এক সময়ে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া বকেয়া বিল বর্তমানে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে তা পরিশোধ করবে বাংলাদেশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা আরও জানান, বিপিডিবি আদানির ঋণদাতাদের আশ্বস্ত করার জন্য গ্যারান্টিও দিয়েছে, যা কোম্পানির কার্যকরী মূলধন সংকটকে সহজ করবে।
আদানি গ্রুপের একজন মুখমাত্র তাৎক্ষণিকভাবে ইকোনমিক টাইমসের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার কেবল বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি নয়, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক মেরামতের জন্যও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
ঢাকা/ফিরোজ