বৈশ্বিক তাপমাত্রা ঐতিহাসিক সর্বোচ্চে

ইউরোপের জলবায়ু পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা জানিয়েছে, মার্চ মাসে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ঐতিহাসিক সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এটি নজিরবিহীন তাপপ্রবাহকে দীর্ঘায়িত করেছে এবং এটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সীমানা পেরিয়ে গেছে।
কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস জানিয়েছে, ইউরোপে এটি ছিল উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে রেকর্ড করা সবচেয়ে উষ্ণতম মার্চ মাস। ইউরোপ মহাদেশে বৃষ্টিপাতের মাত্রাকে অন্য যেকোনো মহাদেশের তুলনায় দ্রুত উষ্ণ করে তুলেছে।
ইতিমধ্যে বিশ্ব কোপার্নিকাস তাদের উপাত্তে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণতম মার্চ মাস দেখেছিল। গত মাসে প্রায় অবিচ্ছিন্ন রেকর্ড বা প্রায় রেকর্ড ভঙ্গকারী তাপমাত্রা বজায় ছিল যা ২০২৩ সালের জুলাই থেকে অব্যাহত রয়েছে।
মার্চ মাসের তাপমাত্রা প্রাক শিল্প যুগের চেয়ে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল, যা একটি অস্বাভাবিকতাকে এতটাই অস্বাভাবিক করে তুলেছে যে বিজ্ঞানীরা এখনো এটি সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গ্রান্থাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্টের ফ্রিডেরিক অটো বলেন, “আমরা এখনো প্রাক-শিল্পায়নের চেয়ে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আছি, এটা সত্যিই ব্যতিক্রম। আমরা খুব শক্তভাবে মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কবলে আছি।”
বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে উষ্ণায়নের এল নিনোর ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর বৈশ্বিক তাপমাত্রার চরম প্রবাহ কমে যাবে। তবে তাদের সেই কথাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বৈশ্বিক তাপমাত্রার চরম প্রবাহ এখনো রয়েছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ প্যানেল আইপিসিসির একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী রবার্ট ভাউটার্ড এএফপিকে বলেছেন, “আমরা এখনো বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রার সম্মুখীন হচ্ছি। এটি একটি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি।”
ঢাকা/শাহেদ