ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৬ ১৪৩১

‘বাংলাদেশ হওয়ার আগে পহেলা বৈশাখ ছিল একটা আন্দোলন’

মোহাম্মদ আসাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৮, ১৪ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৪:২৫, ১৪ এপ্রিল ২০২৪
‘বাংলাদেশ হওয়ার আগে পহেলা বৈশাখ ছিল একটা আন্দোলন’

হাশেম খান সমাজ-সচেতন শিল্পী। ছাত্রজীবন থেকেই নানারকম অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যুক্ত। সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও তিনি সমান সরব। ১৯৫৬ সালে তিনি চাঁদপুর থেকে ঢাকা এসে চারুকলায় ভর্তি হন। চারুকলা মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। শিক্ষাজীবন শেষ করে দীর্ঘজীবন শিক্ষকতা করেন এই প্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে তিনি চারুকলা অনুষদের এমিরিটাস অধ্যাপক। বর্ষিয়ান এই চিত্রশিল্পীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলোকচিত্রী মোহাম্মদ আসাদ

মোহাম্মদ আসাদ: স্যার, আপনার শৈশবের বৈশাখ কেমন ছিল? আপনারা সেসময় কীভাবে বাংলা বর্ষ বরণের দিনটি উদযাপন করেছেন?

হাশেম খান: আমার শৈশব কেটেছে গ্রামে। এখন শহরে বা গ্রামে যে রকম অনুষ্ঠান হয় এসব কিছুই ছিল না। তবে পহেলা বৈশাখের আগের দিন চৈত্রসংক্রান্তিতে ব্যবসায়ীদের হিসাব-নিকাশ, দেনা-পাওয়া চুকে যেতো। লাল রঙের কাপড় দিয়ে বাঁধাই করা লম্বা খাতা মাঝখানে ভাজ করে রাখত। সেই খাতায় নতুন হিসাব খোলা হতো। একে বলা হয় ‘হালখাতা’। সেদিন যারাই দোকানে যেত তাদের মিষ্টি খাওয়াতো। আমরা বড়দের সঙ্গে গিয়ে মিষ্টি খেতাম। দোকানে দোকানে ঘুরে নানা রকম মিষ্টি খেতাম। পহেলা বৈশাখে মাঝেমধ্যে মেলা বসতো। সব গ্রামে বা সব জায়গায় যে নিয়মিত মেলা বসতো তা নয়। আমাদের পাশের গ্রামে মেলা বসতে দেখেছি। সে মেলা তিন দিন, দুই দিন থাকতো।

আরো পড়ুন:

সে সময় মুরুলি নামে এক ধরনের মিষ্টি ছিল বেশ জনপ্রিয়। দেখতে আঙুলের মতো। চালের গুঁড়া দিয়ে বানিয়ে গুড়ের মধ্যে ভিজিয়ে নিত। উপরে গুড় লেগে থাকত। খুবই মচমচে ছিল। আমরা কুড়মুড় করে খেতাম। এটা তখন খুবই জনপ্রিয় ছিল। আর একটা পছন্দের জিনিস ছিল- বাঁশি। তখন চৌকিদাররা সতর্ক করার জন্য টিনের যে বাঁশি বাজাতো, সেরকম ছোট বাঁশি পাওয়া যেত মেলায়। তার ভিতরে একটা বিচির মতো থাকত। ফুঁ দিলে তিব্র শব্দ হতো। সেটা বাজাতে আমার খুব মজা লাগতো! আমার দাদি-মা এরা এই বাঁশির শব্দটা সয্য করতে পারতো না। দাদি বা অন্যদের চমকে দেওয়ার জন্য এই বাঁশি নিয়ে আসতাম- সেটাই ছিল আনন্দ। মেলায় আসত নানা রকম হাঁড়ি-পাতিল আর কৃষিজ যন্ত্রপাতি। লাঙ্গল-জোয়াল, দা-কাস্তে-কুড়াল। বৈশাখী মেলা থেকে সাধারণ কৃষক একটা করে গামছা কিনতো। কেউ লুঙ্গি কিনতো। তখন কিন্তু বেশি জামা-কাপড় ছিল না। ছোটরা বড়দের হাত ধরে মেলায় যেত। 

পহেলা বৈশাখে যে বিশেষ খাবার খেতে হবে এমন কোনো বিষয় ছিল না। নবান্ন’র সময় প্রচুর খাবার দাবার হতো। নানা রকম পিঠা, নতুন চালের নানা রকম খাবার। বৈশাখে এমন কিছু আমি দেখিনি। পহেলা বৈশাকে হাডুডু খেলার প্রতিযোগিতা হতো। সেটা স্কুলে বেশি হতো। 

মোহাম্মদ আসাদ: এরপর যখন ঢাকা এলেন। ভর্তি হলেন  চারুকলায়। এখানে এসে বৈশাখ উদযাপন কেমন দেখলেন?

হাশেম খান: ঢাকায় এসে চারুকলায় ভর্তি হলাম ১৯৫৬ সালে। তখন দেখেছি পহেলা বৈশাখে তেমন কিছু ছিল না। এখানেও চৈত্র সংক্রান্তির দিনে হালখাতা হতো। চকবাজার, বেগমবাজারে দেখেছি হালখাতা হতো। পহেলা বৈশাখে মাঝে মাঝে মেলা হতো। বড় মেলা হতো ঈদ, মহরম, দুর্গাপূজায়। পহেলা বৈশাখে মেলা খুব একটা ঘটা করে হতো না। পহেলা বৈশাখ উদযাপন চারুকলায় আমরা শুরু করলাম। আমি তখন চারুকলা থেকে পাশ করে বেরিয়ে গেছি। তখন আমরা কয়েকজন মিলে শুরু করলাম। অনেকেই ছিল আমার সঙ্গে। ষাটের দশকে আইয়ুব খান যখন বাঙালির ওপর অত্যাচার করছে, আমাদের সংস্কৃতির উপর হস্তক্ষেপ করছে, সেই শুরুটা ছিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নয়। এই শুরুটা করেছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। সেটা ছিল ১৯৫৮ সালে, সেটা অনেকেই ভুলে গেছেন। আমার বয়সী এখন অনেকেই নেই। অনেকেই ভুলে গেছেন।

চারুকলায় নিয়ম ছিল বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে আমাদের বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী হবে। এই বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে আমরা নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম। যেমন গানের অনুষ্ঠান, আরও অনুষ্ঠান হতো। উদ্বোধনী দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত মাঝে মাঝে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। আলোচনা হতো, বক্তৃতা হতো, নাটক হতো, যাত্রা হতো। ১৯৫৮ সালের সেপ্টেম্ব, অক্টোবরে আইয়ুব খান বিপ্লব করলো সমস্ত দেশে। মার্শাল ল জারি করলো। সকল রাজনীতিবিদদের জেলে ভরলো। পাঁচ বছরের জন্য সমস্ত রাজনীতি বন্ধ করে দিলো। বলে দিলো কোনো রাজনীতি চলবে না। আমাদের সাংস্কৃতিক উৎসবের উপর নানা রকম বাধানিষেধ দিতে লাগল। চুল লম্বা রাখা যাবে না। আর্মি কাট চুল রাখতে হবে। কত তরুণ ছেলেকে যে অপমান করেছে তা বলে শেষ করা যাবে না। মেয়েদের মাথায় কাপড় দিতে হতো শাড়ি পরলে। সালোয়ার কামিজ পরলে মাথায় ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখতে হতো। না হলে চপেটাঘাত, বেত্রাঘাত এগুলো হতো। এমন পরিস্থিতে আমরা ভাবলাম- তাহলে তো এবার আমাদের বার্ষিক প্রদর্শনী হবে না। কারণ তিনি বিপ্লব শুরু করেছেন অক্টোবর মাসে। ভীষণ কড়াকড়ি চারপাশে। কেউ হয়তো ফুলহাতা শার্টের হাতা গুটিয়ে রেখেছে, সঙ্গে সঙ্গে সে হাতে বেতের আঘাত এসে পড়ত। আর্মি-পুলিশ সবসময় নজর রাখত। সেই আচরণ এখন কেউ চিন্তাও করতে পারবে না।

হাশেম খান, আলোকচিত্র: মোহাম্মদ আসাদ 

এই পরিস্থিতিতে আমরা ভেবে নিয়েছিলাম এবার বার্ষিক প্রদর্শনী হবে না। কিন্তু জয়নুল আবেদিন একদিন বললেন- প্রদর্শনী হবে। শুধু প্রদর্শনী নয়, আমি ১০ দিনব্যাপী লোক উৎসব করবো এই প্রদর্শনী উপলক্ষে। অন্য শিক্ষকরা খুব আশ্চর্য হলেন। এই মার্শাল-ল’য়ের মধ্যে এমন ভাবনা! তিনি বললেন, আমার উপর দায়িত্ব ছেড়ে দাও। তোমরা শুধু আমাকে সহযোগিতা করো। কী করে করবো, কীভাবে তাদের রাজি করারো সেটা আমি দেখবো। কারণ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ছিলেন বলিষ্ঠ মনের মানুষ। কিন্তু সেটা প্রকাশ করতেন না। সেই সময়ে সমগ্র পাকিস্তানে তিনি একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন; আর্মিদের কাছেও। আইয়ুব খানের ছেলে গহর আইয়ুব তার খুব ভক্ত ছিল। গহর আইয়ুব সে সময় খুব নামকরা সিএসপি অফিসার। পরে সেই অনুষ্ঠান হলো। সরকারি আমলাদের দাওয়াত করা হয়েছিল। অন্যদেরও দাওয়াত দেয়া হলো। বেশ বড় আয়োজন! সেখানে ছিল জারি-সারি গান, কবিগান, লাঠিখেলা, লোক উৎসবে যা যা হয় সবই ছিল সে উৎসবে। দশ দিনের জমজমাট মেলা হয়েছিল সেবার।  

জয়নুল আবেদিন ময়মনসিংহ থেকে নকশি পিঠা তৈরির কারিগরদের পর্যন্ত নিয়ে এসেছিলেন। সবাইকে সেই পিঠা খাইয়েছিলেন। পিঠার এত সুন্দর সুন্দর নকশা দেখে দেশি-বিদেশি সবাই মুগ্ধ হয়েছিল! তখন এক ধরনের সেলিফিন পেপার পাওয়া যেত। সেটাকে বলতো বাটার পেপার। একদম ট্রান্সপারেন্ট ছিল না, একটু ঘোলাটে ছিল। সেই কাগজে করে নকশি পিঠা পরিবেশন করা হয়েছিল। সেই কাগজ ফুরিয়ে গেলে কলাপাতা, কাঁঠাল পাতায় মুড়িয়ে পিঠা দেয়া হলো। আর্মিরা ভাবলো এটা গ্রাম-গঞ্জের উপাদান নিয়ে উৎসব, এতে মার্শাল ল’র ক্ষতি হবে না। এটা তো বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ভারতের সংস্কৃতি নয়। রবীন্দ্রসংগীত, নাচ-গান এগুলো তাদের কাছে ছিল হিন্দু সংস্কৃতি। ডিসেম্বর মাসের শেষে ১০ দিন ধরে এই উৎসব হয়েছিল। ১৯৫৮ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়ে ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি মাসে কয়েক দিন ছিল। আমাদের শুধু বলেছিল, সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করতে হবে। কিন্তু অনুষ্ঠান চলতো রাত ৯টা-১০টা পর্যন্ত। একদিন তো সারারাত অনুষ্ঠান হলো। সারারাত যাত্রা আর কবির লড়াই; মেলায় যা ছিল তাই খেয়েই সবাই সারারাত কাটিয়েছে। আমি চলে গিয়েছিলাম। যারা ছিল তাদের কাজে জেনেছি সারারাত জেগে তারা অনুষ্ঠান দেখেছে। 

মোহাম্মদ আসাদ: চারুকলায় তাহলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন পালন শুরু হলো কবে থেকে?

হাশেম খান: ১৯৬১ সালে ছায়ানট এবং চারুকলা এই সময়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছায়ানটের গান শেষ হলো, তারপর আমরা চারুকলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করলাম। তখন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম ছিল না। প্রথম কয়েক বছর ছোট আয়োজনে হতো। মার্শাল ল ছিল তো! সেই শোভাযাত্রায় আমাদের আঁকা পোস্টার থাকত। আমরা খরচ মেটানোর অর্থ সংগ্রহ করতে পটারি তৈরি করে বিক্রি করতাম। আমাদের দেখাদেখি বিসিক নকশাকেন্দ্র মেলার আয়োজন করে। প্রথমে তাদের মতিঝিল অফিসে মেলার আয়োজন করতো। সে সময় আমরা এক বছর, দুই বছর করেছিলাম। নিয়মিত এই আয়োজন হতো না।   

আইয়ুব খান সরকারের যখন ১০ বছর পূর্তি হলো, তখন তারা বেশ জানান দিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেই অনুষ্ঠানকে কাউন্টার করে সে বছর ১৯৬৯ সালে চারুকলায় পহেলা বৈশাখের আয়োজন হয়েছিল। তখন ছায়ানট, কঁচিকাচার মেলাও পহেলা বৈশাখ আয়োজন করে। সেই সময় কঁচিকাচার মেলা নিয়মিত পহেলা বৈশাখের আয়োজন করতো। স্বাধীনতার পর চারুকলা পহেলা বৈশাখ পালন করত কিনা আমার মনে নেই। তবে শুরুতে অনিয়মিত হলেও, পহেলা বৈশাখ আমরা ভালোভাবে পালন করেছি ১৯৬৮, ৬৯ এবং ৭০ সালে। একাত্তরে তো করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭০ সালে শিল্পী ইমদাদ হোসেনের নেতৃত্বে ‘কালবৈশাখী’ নামে আমরা প্রদর্শনী করেছিলাম। কালবৈশাখী ঝড় সব ঠাণ্ডা করে দেবে। পুরনো সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে আমরা নতুন উদ্যোমে শুরু করতে চাই- এই হলো থিম। এর প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন শিল্পী ইমদাদ হোসেন। তখন তিনি সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু তোয়াক্কা করতেন না। তার সঙ্গে আমি, রফিকুন নবী, শাহাদাত চৌধুরী, কেরামত মাওলা, আনোয়ার হোসেন আরও অনেকে ছিল। সে বছর লোকশিল্পীদের কয়েকটি দোকান হয়েছিল। আমরা একটা মিছিল করেছিলাম চারুকলা থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত। সেখানে আমরা ঢোলবাদকদের নিয়ে এসেছিলাম। প্রেস ক্লাব পর্যন্ত আমাদের যাওয়ার কথা ছিল। দোয়েল চত্বরে গিয়ে বাধা পেয়ে ফিরে আসি।   

নবান্ন উৎসব আমরাই শুরু করেছিলাম একই সময়ে। ১৯৭০ সালে আমার বাসায় বসেই এর পরিকল্পনা হয়। রফিকুন নবী, আমি, শাহাদাত চৌধুরী, বুলবন ওসমান আমাদের একটা গ্রুপ ছিল। আমরা সবাই গেলাম জয়নুল আবেদিনের শান্তিনগর বাড়িতে। বললাম- স্যার, আমরা নবান্ন উৎসব করবো। সে বছর আমরা পহেলা বৈশাখ করে ফেলেছি; সাকসেসফুলি। মেলাও হয়েছিল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময়। জয়নুল আবেদিন লোকশিল্পীদের ডেকে ডেকে নিয়ে আসতেন। গোলাম মাওলা নামে জয়নুল আবেদিনের এক আত্মীয় ছিল। তাকে দিয়ে লোকচিত্রকলা, লোকশিল্প সংগ্রহ করতেন। সেই সময় চারুকলায় লোকশিল্পের আদলে বেত আর বাঁশ দিয়ে একটি ঘর তৈরি করেছিলেন। পুরো ঘরটা বেত আর বাঁশের নকশায় তৈরি। সে ঘর অসাধারণ একটি শিল্পকর্মই বলা যায়! গ্যালারির পূর্ব পাশে যেখানে গাড়ি রাখা হয় সেখানে ছিল ঘরটা। স্বাধীনতা আন্দোলন এবং তারপর দীর্ঘকাল ছিল। সেটা দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে অনেক লোক আসত চারুকলায়। সেটা রাখা গেল না। উইপোকা খেয়ে নষ্ট করেছে। প্রায় ১০-১২ বছর পর্যন্ত ছিল।      

বিগত শতাব্দির আশির দশক থেকে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে অনেকটা গুছিয়ে পহেলা বৈশাখ পালন শুরু হয়। এটা আমার ছাত্ররাই শুরু করে। আমরাও তাদের সঙ্গে ছিলাম। মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। এটা এখন বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। এ বছর আমি ছবি এঁকে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য ছবি আঁকার উদ্বোধন করেছি। এর আগেও অনেক বার উদ্বোধন করেছি। এটা সবসময়ই আমার কাছে আনন্দের।  

একটা কথা মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ হওয়ার আগে পহেলা বৈশাখ উদযাপন একটা মেলা বা আনন্দ নয়, এটা ছিল একটা আন্দোলন। আমাদের সংস্কৃতি উৎখাত করে পাকিস্তানি সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। সে কারণে আমরা  আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখকে নিয়ে এসেছিলাম।   

তারা//


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়