একান্ত সাক্ষাৎকারে উপাচার্য
রাবির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমস্যা আছে, দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেব
মেহেদী হাসান || রাইজিংবিডি.কম
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা ধারাবাহিকভাবে পদত্যাগ করেন। বেশ কিছুদিন প্রশাসন শূন্য থাকার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি রাবি থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৩ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০৮ সালে টাওয়াস ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড, ২০১১ সালে রাজ্জাক-শামসুন ফিজিক্স রিসার্চ পুরস্কার ও ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ডিনস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়া স্কোপাস তালিকাভুক্ত সাময়িকীগুলোতে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ নিয়ে ২০২০ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গবেষক হন তিনি। রাবির ইতিহাসে প্রথম ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’ টোয়াসের সদস্য হয়েছিলেন। সবশেষ গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘এলসেভিয়ার’র বিশ্বসেরা বিজ্ঞান গবেষকদের তালিকায় তিনি স্থান পান। কয়েকদিন আগে অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ২০২৪ সালের বিশ্বসেরা গবেষকদের নিয়ে প্রকাশিত তালিকায় তিনি স্থান লাভ করেছেন। সম্প্রতি তিনি মুখোমুখি হন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডির। জানান বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা ভাবনা ও পরিকল্পনা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদী হাসান। সঙ্গে ছিলেন রাবি সংবাদদাতা ফাহমিদুর রহমান ফাহিম। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব আজ।
রাইজিংবিডি: আপনি কয়েকটি বিশ্বসেরা তালিকাভুক্ত গবেষকদের অন্যতম। একজন গবেষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গবেষণা বাবদ বরাদ্দ আছে, সেটা কি পর্যাপ্ত? কী পরিমাণ বরাদ্দ হওয়া উচিৎ?
উপাচার্য: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা গবেষণা করছেন তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে এবং আত্মতৃপ্তির জায়গা থেকে করছেন। তারা গবেষণাকে ভালোবাসেন। গবেষণা করার জন্য যে যোগ্যতা দরকার, সেটা তাদের আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যে সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন সেটা নেই আরকি। গবেষণা ক্ষেত্রে বরাদ্দ প্রতিবছর একটু করে বাড়ছে। আমাদের আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে, তা খুবই অপ্রতুল। শুধু যে বরাদ্দ কম সেটা না, তার চেয়ে বড় সমস্যা হলো বণ্টন। যে প্রক্রিয়ায় এ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটাকে স্বচ্ছ বলা যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে প্রজেক্টের গুরুত্ব ও গবেষকের যোগ্যতা বিবেচনায় না এনে অনেকটা পাইকারি ভিত্তিতে বরাদ্দগুলো দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সত্যিকার প্রজেক্টের মূল্যায়নটা হচ্ছে না। আমি মনে করি, বরাদ্দের পরিমাণটাও বাড়াতে হবে এবং যে প্রজেক্টগুলো আসলেই গুরুত্বপূর্ণ ও যেসব গবেষকরা যোগ্যতাসম্পন্ন, তারা যেন বরাদ্দটা পান। একটা প্রতিযোগিতামূলক জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।
রাইজিংবিডি: উপাচার্য হিসেবে আপনি কতটুকু বরাদ্দ দেওয়ার কথা ভাবছেন।
উপাচার্য: এবারের যে বরাদ্দ আছে, আমি তার ৫০ শতাংশ বাড়াতে চাই। আমার মনে হয়, এখন যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিতে আছেন, তারা যদি আন্তরিক হলে খুব কঠিন হওয়ার কথা না।
রাইজিংবিডি: র্যাংকিংয়ে প্রথম সারিতে প্রাইভেট ও দ্বিতীয় সারিতে রাবিসহ অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই।
উপাচার্য: এটা খুবই দুঃখজনক। তবে এর সুস্পষ্ট কারণ আছে। প্রথম কারণ হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিছু অন্তর্গত দুর্বলতা আছে। একটা দুর্বলতা হলো, আপনি যদি রিসার্চ আউটপুটের কথা চিন্তা করেন, তাহলে ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া বহুদিন ধরে পুরোপুরি স্বচ্ছ নয়। সব সময় যে যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী নিয়োগ দিতে পেরেছি, এটা বলা যাবে না। পঠন-পাঠনসহ সবক্ষেত্রে এর একটা বিরূপ প্রভাব তো পড়বেই। অন্যদিকে, প্রথম সারির প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন নেই। এদিক থেকে তারা অনেকটাই এগিয়ে। যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক পাওয়ার সুযোগ তাদের আছে।
রাইজিংবিডি: রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনও ধাপ আছে কি না? অভিযোগমুক্ত নিয়োগের ব্যবস্থা কীভাবে গ্রহণ করা যেতে পারে?
উপাচার্য: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া, সেটাতে সমস্যা আছে। আমরা খুব দ্রুত এটা নিয়ে বসবো এবং যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ হয়, সে বিষয়ে করণীয় দিক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। শুধু মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে যাচাই-বাছাই হবে কি না, এ একটা বড় প্রশ্ন। এর চেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, নিয়োগ বোর্ডের মোটিভেশনটা কী? নিয়োগ বোর্ডে যদি দেশসেরা বিশেষজ্ঞরা থাকেন, যদি ওই মাত্রায় সততা ও নৈতিকতা থাকে; তাহলে তাদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীকে বাছাই করা কঠিন কিছু না। এর মধ্যে লিখিত-মৌখিকসহ নানা প্রক্রিয়া থাকতে পারে। সেখানে আপনার সেরা প্রার্থীকে বাছাই করার সৎ উদ্দেশ্য থাকতে হবে। কিন্তু বিগত বছরগুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ ধরনের কমিটমেন্ট ছিল না, প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ প্রচুর হয়েছে। আমি কমিটমেন্টের ওপর জোর দেব এবং নিয়োগ কমিটিতে যাতে প্রকৃত এক্সপার্ট ও সৎ লোকেরাই থাকে, সে চেষ্টা করবো। বর্তমান প্রশাসনে যারা থাকবেন, আমি আশা করছি তারা এ বিষয়ে কোনও ছাড় দেবেন না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা আর একটি প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগও দেখতে চাই না।
রাইজিংবিডি: বহু আগে থেকেই ডিজিটাল আইডি কার্ড বাবদ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দুই ধাপে ৮০০ টাকা প্রদান করতে হয়। কিন্তু এর ফল এখন পর্যন্ত তারা যথাযথভাবে পায়নি। এ ব্যাপারে পরিকল্পনা জানতে চাই?
উপাচার্য: এ প্রশ্ন আমারও। আমাদের ছাত্ররা এই কার্ডটা নিচ্ছে, কিন্তু এর ব্যবহার খুবই সীমিত। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি একমাস। এই কার্ডের বিপরীতে কী সার্ভিস আছে, এতদিন ধরে নেওয়া টাকা কোথায় কীভাবে খরচ হয়েছে; সেসব নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়ার সুযোগ হয়নি। এ বিষয়ে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে আমাদের বুঝতে হবে এবং কাজ করতে হবে। যে ধরনের সার্ভিস দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কোন কোন সীমাবদ্ধতার কারণে তা হচ্ছে না, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। যদি সার্ভিস দেওয়া না যায়, তাহলে তো এভাবে টাকা নেওয়া ঠিক না। আপনি বললেন, এ বিষয়ে আমি গুরুত্ব দেব।
রাইজিংবিডি: ডিজিটাল উপস্থিতি চালু না থাকায় শিক্ষকরা নানা অনিয়মের সুযোগ পান। এটা ছাড়া শিক্ষাকার্যক্রমে শিক্ষকদের জবাবদিহির জায়গা কতটুকু?
উপাচার্য: শিক্ষকদের পাশাপাশি এটা কর্মচারীদের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেশিনও বসানো হয়েছিল এবং এখনো সেগুলো আছে। তবে সে অর্থে কার্যকর হয়নি। এটা নিয়ে আবার চিন্তাভাবনা করার সময় আসছে। কারণ, অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ঠিকমতো চালাতে গেলে হাজিরা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আপত্তিরও কিছু কারণ ছিল। আমি নিজেও জিনিসটা ভালো চোখে দেখিনি। কারণ, সেখানে বলা হয়েছিল, ৯টা থেকে ৪টা বা ৫টা পর্যন্ত অফিসের সময়। আমার মতো অনেকে আছেন, যারা কখনো সময়ের ধার ধারেননি। আমরা ছুটির দিন, ক্লাস আওয়ার কোনকিছুই দেখিনি। এ রকম স্বল্প সংখ্যক যারা আছেন, তাদের কাছে একটু অসম্মানজনক মনে হয়। সময় বেঁধে দিলে, আমাদের কাজের কোনও মূল্যায়ন হবে না। তবে অ্যাকাডেমিক শৃঙ্খলার জন্য যদি পদক্ষেপ নিতে হয়, সেটা সবারই মেনে নেওয়া উচিত বলে মনে করছি।
উপাচার্যের সঙ্গে রাইজিংবিডির ক্যাম্পাস পাতার ইনচার্জ মেহেদী ও রাবি সংবাদদাতা ফাহমিদুর রহমান
রাইজিংবিডি: ‘ওয়ান পাঞ্চ’ সিস্টেম চালু করা সম্ভব?
উপাচার্য: এটা আলোচনার বিষয়। অনেক প্রতিবাদের কারণে এটা করা সম্ভব হয়নি। আবারও কিছু করতে গেলে অবশ্যই আলোচনা করে করতে হবে। না হলে আবারও এটা কার্যকর হবে না। এর জন্য বুঝতে হবে ও বোঝাতে হবে।
রাইজিংবিডি: অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪৬৩ কোটি টাকার মতো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বরাদ্দের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
উপাচার্য: এগুলোর কাজ ২-৩ মাস ধরে স্থবির হয়ে গেছে। এখন আবার কাজগুলো শুরু হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ শুরু হয়নি। এর মধ্যে ঠিকাদারদের কেউ কেউ অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করা হয়েছে, আবার কাজ শুরু করছেন। আবাসিক হল, অ্যাকাডেমিক ভবন, শিক্ষক ডরমেটরিসহ তিনটা বড় প্রজেক্ট চালু আছে। যারা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটিতে আছেন, তারা খুবই পরিশ্রম করছেন। খুব দ্রুত পুরোদমে কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।
রাইজিংবিডি: চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান আবাসিক হলের শাটারিংসহ ছাদ ধসে পড়ে। এ ব্যাপারে কী বলবেন?
উপাচার্য: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তবে তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশ প্রকৌশল দপ্তর থেকে আমার কাছে এখনও পৌঁছায়নি। আমি এগুলো জানতে চেয়েছি, শিগগিরই জানতে পারবো।
রাইজিংবিডি: রাকসু নিয়ে ইতোমধ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে সর্বশেষ তথ্য জানতে চাই।
উপাচার্য: শুধু নির্বাচন নয়, রাকসুর সঙ্গে অনেককিছু জড়িত। কোন ধরনের নির্বাচন হবে? দলীয় রাজনীতির প্রভাব আদৌ থাকবে কি না? যেটাকে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বলা হচ্ছে, সেটা আমরা কেউ চাই না বা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে চাই না। এখানে অনেক ধারণাগত ও সংস্কারের ব্যাপার আছে। আমাদের বিশ্বাস, কয়েক মাসের মধ্যে এটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। আমি খুবই চাই, রাকসুর মতো শিক্ষার্থী দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি মাধ্যমে তাদের সমস্যা বা ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করবে। তাহলে কোনও বিতর্ক থাকবে না। তাই এই প্রশাসন রাকসু নির্বাচন করবে। কীভাবে হবে, তা নিয়ে আমি সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেব। ইতোমধ্যে আমরা অরাজনৈতিক সংগঠনের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের বক্তব্য শুনেছি এবং তাদের প্রস্তাব নিয়েছি। পূজার ছুটিশেষে পুরাতন ধারার ছাত্র রাজনৈতিক দলের নেতাদের এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসবো। সবার মতামতগুলো সামারাইজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের শুধু রাজনীতি নয়, সার্বিক কার্যক্রম কেমন হবে, সে বিষয়ে ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবো। সেই ফ্রেমওয়ার্কভিত্তিক রাকসু নির্বাচন করতে চাই। এখানে আমার ভাবনাকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছি না, শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তারা যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে চায়, তার ভিত্তিতেই রাকসু নির্বাচন হবে।
রাইজিংবিডি: তাহলে কি ছাত্ররাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে?
উপাচার্য: সিদ্ধান্তটা আমার থেকে আসবে না। শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা কাজ করবো। এখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা যে রকম ভাবছেন, ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীরও সে রকম ভাবনা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দর করে চালানোর জন্য সবার মতামত সমন্বয় করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। একক কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
/এনএইচ/