ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

যশোরে ট্রেন অবরোধ করে ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩০, ১৪ জুলাই ২০২৪  
যশোরে ট্রেন অবরোধ করে ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ

যশোরের গদখালীতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস অবরোধ করে বিক্ষোভ

যশোরের গদখালী রেলস্টেশন পুনরায় চালুসহ ৬ দফা দাবিতে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন গদখালির ফুলচাষীরা।

রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে গদখালী রেল স্টেশন চত্বরে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির আয়োজনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-যশোর রুটে চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরোধ করেন।

রোববার দুপুরে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সদস্যরাসহ গদখালীর ফুলচাষী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী গদখালি রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরু করেন। এ সময় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরোধ করেন তারা।

অবরোধকালে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, জিল্লুর রহমান ভিটু, ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদুর রহমান রশীদ, গদখালী বাজার কমিটির নেতা ডাক্তার কামাল হোসেন, গদখালী স্বজন সংঘের নির্বাহী পরিচালক সুভাষ ভক্ত বাবু, যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্য সেলিম রেজা প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক হোসেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গদখালী রেল স্টেশনটি ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ যখন এক রাষ্ট্র ছিল তখনও এ স্টেশনটি চালু ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই রেল লাইন ও স্টেশনও চালু ছিল। পরে বেনাপোল রেল লাইনটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তা চালু হলেও গদখালী রেল স্টেশনটি চালু হয়নি।

গদখালির ফুলচাষীরা এই স্টেশন চালু করে গদখালির ফুল ট্রেনে করে পদ্মাসেতু দিয়ে ঢাকায় পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। একইসঙ্গে যশোরবাসীর ৬ দফা দাবিও তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো- বেনাপোল থেকে ঢাকার দু’টি ট্রেন, দর্শনা থেকে যশোর হয়ে ঢাকার দু’টি ট্রেন ও খুলনা থেকে যশোর ঈশ্বরদী যমুনা সেতু হয়ে অন্তত একটি ট্রেন বহাল রাখতে হবে। ঢাকায় অফিস ধরার মতো সময়ে যশোর জংশন থেকে ট্রেন দিতে হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সুলভ বগি এবং ফুল, মাছ ও সবজিবাহী বগি (ভেন্ডার) যোগ করতে হবে। ট্রেনের ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে নামাতে হবে। নিবন্ধনের বাইরেও টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সিনিয়র সিটিজেনদের টিকিট প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে দর্শনা থেকে খুলনা পর্যন্ত ডাবল লাইন স্থাপন করতে হবে।

ফুল চাষী সমিতির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ফুলের রাজ্য হিসেবে খ্যাত গদখালির নানা জাতের ফুল ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যায়। দেশের চাহিদার ৭০ ভাগ ফুল এই অঞ্চল থেকে সরবরাহ করা হয়। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রেলবগি (ভ্যান্ডার) ফুল ও সবজি পরিবহনের জন্য বরাদ্দ দিলে গদখালী স্টেশন থেকে ফুল ও সবজি সরবরাহ করা যাবে। ফুলের রাজ্যে ফুল পরিদর্শনে হাজার হাজার দর্শনার্থী দূর-দূরান্ত থেকে বিশেষ করে খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ থেকে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে।

রিটন/ফয়সাল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়