ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘হত্যা, ধর্ষণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে জামিন নয়’

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৬, ৯ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘হত্যা, ধর্ষণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে জামিন নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোনো আসামির বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতির অভিযোগ থাকলে তাকে আগাম জামিন দেয়া যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

কোনো ব্যক্তিকে কোনো মামলায় ৮ সপ্তাহের বেশি আগাম জামিন দেয়া যাবে না বলেও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এই আগাম জামিন কোনোভাবেই অভিযোগপত্র দাখিলের পর অব্যাহত থাকতে পারবে না। আগাম জামিনের ক্ষেত্রে সর্বমোট ১৬ দফা নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।

আদালত গত ১৮ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনসহ ১৬ জনের জামিন বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত আদেশ দেন। এরই পূর্ণাঙ্গ এ রায় গত ৭ আগস্ট প্রকাশিত হয়েছে।

গত বছর এসব নেতাকে বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে ওই রায় দেন আপিল বিভাগ। 

এদিকে, এই রায়ের কপি পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহসহ ১৬ জনকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। যথাযথ আদালতে আত্মসমর্পণের পর এসব ব্যক্তি জামিনের আবেদন করলে তা বিবেচনা করতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে বলা হয়েছে।

৪৪ পৃষ্ঠার এই রায়ে বলা হয়েছে, জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে মামলার এজাহার সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করতে হবে। অপরাধের ধরণ ও ঘটনার সঙ্গে আসামির সম্পৃক্ততা কতটুকু তা দেখতে হবে। আসামির স্বভাব-চরিত্র ও ব্যবহার দেখতে হবে। সাক্ষীকে প্রভাবিত করা বা হুমকি দেয়া যাবে না, এই শর্তে আগাম জামিন দেওয়া যাবে। তবে জামিনের শর্ত ভঙ্গ করলে, তদন্ত বাধাগ্রস্ত করলে জামিন বাতিল করার জন্য বাদীপক্ষ বা রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন জানাতে পারবে। গ্রেপ্তার করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হয়রানি বা অপদস্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না তা বিবেচনা করতে হবে।

রায়ে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, মানুষের জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করা যাবে না। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ আগস্ট ২০১৯/মেহেদী/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়