ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর মামলা তদন্তে ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর মামলা তদন্তে ডিবি

পুলিশের হেফাজতে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলা ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ডিবি পুলিশের উত্তরের ডিসিকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৫ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।

গত ১৫ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মোছা. আলো বেগম। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেয়ার কথা জানান। বৃহস্পতিবার আদেশের বিষয়টি জানা গেছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান, এএসআই নামজুল ও মো. সোহাগ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আলমগীর ভ্যানে করে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় পোশাক বিক্রি করতেন। গত ১৬ ডিসেম্বর আলমগীরকে ৭ নম্বর সেক্টরে যেতে বলেন শান্ত নামের এক ব‌্যক্তি। সেখানে যাওয়ামাত্র এসআই মিজানুর রহমান আলমগীরের পকেটে হাত ঢুকিয়ে বলেন, পকেটে ইয়াবা আছে। পরে তাকে মারধর করা হয়। আসামিরা আলমগীরের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আলমগীর তার স্ত্রীকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন। ভ্যানচালক লালুর মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেন আলমগীরের স্ত্রী।

রাত ৩টা পর্যন্ত আলমগীর বাসায় না যাওয়ায় তার স্ত্রী তাকে ফোন করেন। থানা থেকে একজন বলেন, আলমগীরের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। পরে তার স্ত্রী থানায় যান। আলমগীর তার স্ত্রীকে জানান, আসামিরা ইয়াবা পাওয়ার মিথ্যা অভিযোগে তাকে ধরে এনেছে। আসামিরা ৫ লাখ টাকার দাবিতে তাকে নির্যাতন করেছেন। টাকা দিতে না পারায় এবং মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকার করায় মিজানুর রহমান, এএসআই নাজমুল এবং আরেক পুলিশ সোহাগ তাকে থানার চারতলায় নিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে।

পুলিশ আলমগীরকে আদালতে নেয়ার জন‌্য যখন গাড়িতে তোলে, তখন তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন। কয়েকজন মিলে তাকে টেনে নিয়ে গাড়িতে তোলে। পরে আদালত  থেকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে মারা যান আলমগীর হোসেন ।

বাদীর অভিযোগ, ওসি তপন চন্দ্র সাহার সহযোগিতা ও নির্দেশে অপর তিন আসামি আলমগীরকে পিটিয়ে জখম করেছেন। নির্যাতনের কারণেই মারা গেছেন আলমগীর হোসেন।


ঢাকা/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়