বুলিং প্রতিরোধ নীতিমালা হাইকোর্টে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বুলিং হলো এক ধরনের মৌখিক, মানসিক বা শারীরিক পীড়ন। ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে একজনকে বারবার বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো, আক্রমণ করা এবং ইচ্ছাকৃত ও অপ্রয়োজনীয়ভাবে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক শিক্ষার্থী দ্বারা অন্য কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষার্থীদের ওপর হিংসাত্মক আচরণ।
রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ খসড়া নীতিমালা দাখিল করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার উপস্থিত ছিলেন।
ওই নীতিমালায় মৌখিক, শারীরিক, সামাজিক, সাইবার ও বর্ণগত- এ পাঁচ ধরনের বুলিংয়ের কথা বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, বুলিংয়ের পাশাপাশি এতে র্যাগিং শব্দটি যুক্ত করা দরকার। আগামী ৫ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বুলিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে সে নিজের মধ্যে গুটিয়ে না যায় কিংবা কোনো ক্ষয়ক্ষতির চিন্তা না করে। এছাড়া, যেসব শিক্ষার্থী বুলিং করে তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে সংবেদনশীলতার শিক্ষা দেয়া দরকার। তারা এমন সব কর্মপন্থা অবলম্বন করবে, যাতে বুলিং আচরণগুলো হ্রাস করে সেগুলোকে ইতিবাচক প্রো-সোশ্যাল আচরণে রূপান্তরিত করা যায়। বুলিংকারী এবং ভিকটিম উভয়ের মা-বাবা, অভিভাবককে যথাযথ পরামর্শ, গাইডলাইন এবং কাউন্সেলিং করতে হবে, যাতে তারা নিজেদের এবং তাদের সন্তানের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন।
ঢাকা/মেহেদী/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন