ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পিলখানা হত্যা

রায়ের কপি সংগ্রহে লাগবে ৯ লাখ টাকা!

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রায়ের কপি সংগ্রহে লাগবে ৯ লাখ টাকা!

আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে যাচ্ছেন আসামিরা।

কিন্তু হাইকোর্টের ২৯ হাজার পৃষ্ঠার রায়ের কপি সংগ্রহ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন আসামিদের আইনজীবীরা। এখন তারা রায়ের কপি সংগ্রহ করতে বিকল্প উপায় খুঁজছেন।

গত ৮ জানুয়ারি হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের উপর হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত রায়টি ২৯ হাজার পৃষ্ঠার। এত রায় বিশ্বের বিচার বিভাগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভলিউমের রায়।

এ প্রসঙ্গে আসামিদের অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারছি না। কারন রায়টি অনেক বড় ভলিউমের। কোর্ট ফি দিয়ে রায়ের একটি  সত্যায়িত কপি সংগ্রহ করতে প্রায় নয় লাখ টাকা লাগবে।

তিনি বলেন, যারা দন্ডিত আসামি তারা অস্বচ্ছল। এরা মামলা চালাতে আইনজীবীর টাকা জোগাড় করতে পারে না। সেখানে এত টাকা দিয়ে কিভাবে রায়ের অনুলিপি সংগ্রহ করবে। অ্যাডভোকেট আমিনুল বলেন, এজন্য হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে যাতে আসামিরা নিয়মিত আপিল করতে পারে সেজন্য পূর্ণাঙ্গ রায়ের ফটো সার্টিফায়েড কপি সরবরাহ করতে রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর আবেদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কোন সিদ্ধান্ত পাইনি। যদি ফটো সার্টিফায়েড কপি সরবরাহ করা হয় তাহলে আপিল দায়েরের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, এত বড় রায়ের কপি সরবরাহ করতে অনেক সময় লাগবে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখার।

বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়। বেঞ্চের অপর দুই বিচারক হলেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ আসামির আপিল খারিজ করে ডেথ রেফারেন্স বহাল রাখে। দুই বছর পর ডেথ রেফারেন্সের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ বিডিআর জওয়ানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট। যে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়নি, তাদের মধ্যে চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর মৃত্যুদণ্ড হ্রাস করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আট জওয়ানকে। হাইকোর্টে আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় বাকি একজনের মৃত্যু হয়।

নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রেখেছে আদালত। তবে নিম্ন আদালতে খালাস পাওয়া ৩১ জওয়ানকে নতুন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। এখন মোট যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৫ জনে। এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত ২০০ জনের সাজা বহাল রয়েছে।

এ মামলায় যারা খালাস পেয়েছেন পেপারবুক প্রস্তুতের পর তাদের বিষয়ে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।


ঢাকা/মেহেদী/নাসিম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়