ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দুদক নিয়োগ পরীক্ষা বিতর্ক: টেলিটকের ব্যাখ্যা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ১ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুদক নিয়োগ পরীক্ষা বিতর্ক: টেলিটকের ব্যাখ্যা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালকের ১৩২টি শূন্যপদে প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিভ্রান্তি ও বির্তকের জন্য দু:খ প্রকাশ করেছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।

কারিগরি ত্রুটির কারণেই এ অনাকাঙ্ক্ষিত বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে টেলিটক দাবি করেছে। রোববার টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (ভ্যালু এডেড সার্ভিস) মোহাম্মদ আল-রাজ্জাকুজ্জামানের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দুদকের সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ পরীক্ষার আসন বিন্যাস তালিকা বহির্ভূত একজন প্রার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি একটি প্রত্রিকায় ছাপা হয়। প্রকাশিত সংবাদটি টেলিটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই পদের প্রার্থীদের আবেদন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৯২ হাজার ৯৫৪ জন প্রার্থী অনুকূলে প্রবেশ পত্র ইস্যু করা হয়। সেভাবেই আসন বিন্যাসও প্রণয়ন করা হয়। আবেদনকারীদের মধ‌্যে যাদের প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয় নাই, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দুদক বরাবর আবেদন করে জানান যে, নিয়োগ পরীক্ষার সকল শর্তাবলী পরিপালন সত্ত্বেও তারা প্রবেশপত্র পাননি। তাই দুদকের অনুরোধে টেলিটক দাবিকৃত প্রার্থীদের আবেদনপত্র পুনরায় যাচাই-বাছাই করে। তাতে ২৬২ জন প্রার্থীর আবেদনপত্র বৈধ পাওয়া যায়। এরপরই দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুমোদনে শেষ মুহূর্তে ২৬২ প্রার্থীর অনুকূলে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়। একই সঙ্গে ২৬২ জনের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র উল্লেখ করে প্রবেশপত্র ইস্যু করার বিষয়টি অবহিত করা হয়। কারিগরি ত্রুটির কারণে এ অনাকাক্ষিত বিভ্রান্তির জন্য টেলিটকের পক্ষ থেকে দু:খ প্রকাশ করা হলো।’

অন্যদিকে দুদকের পক্ষ থেকে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও পরিচালক প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে বলেন, টেলিটকের ‘যাচাই-বাছাইয়ে’ বিলম্বের কারণে ২৬২ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ হারাচ্ছিলেন। ওই পরীক্ষার্থীদের আবেদনে প্রেক্ষিতে শেষ মুহূর্তে তাঁদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। আর এ কারণে ওয়েবসাইটে আসনবিন্যাসে প্রথমে ওই প্রার্থীদের রোল নম্বর ছিল না। পরে তাদের প্রত্যেককে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এখানে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।’

দুদকের সহকারী পরিচালকের ১৩২টি শূন্যপদে গত শুক্রবার প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা নিয়ে কোনো জটিলতা না হলেও ফলাফল প্রকাশের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের প্রশ্ন ছিল, আসনবিন্যাসে ৯৩ হাজার ডিজিটের রোল নম্বর না থাকলেও কীভাবে পরীক্ষার ফলাফলে এমন রোল নম্বর যুক্ত হলো?

গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদক পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগ) জালাল সাইফুর রহমানের সই করা আসনবিন্যাসে দেখা যায়, পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৯২ হাজার ৯৫৪ জন। কিন্তু বাড়তি ২৬২ জনের রোল নম্বরের আসন বিন্যাস ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি বলে এমন জটিলতা দেখা দেয়।

যে কারণে একই দিন দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান সই করা প্রকাশিত ফলাফলে ২ হাজার ৪৮২ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ৯৩ হাজার ১৮২ রোল নম্বরধারী (সিট প্ল্যানের তালিকাবহির্ভূত) একজন ছিল। এর পরপরই বিতর্কে জন্ম হয়।

 

ঢাকা/এম এ রহমান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়