১০ জঙ্গির বিচার শুরুর আদেশ ২৩ মার্চ

রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি অস্তানায় অভিযানের মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হবে কি না সেই বিষয়ে আদেশের তারিখ পিছিয়ে আগামি ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ দিন ঠিক করেন।

এদিন মামলাটি আদেশের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি আব্দুস সবুর খানকে অন্য মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রামে নেয়া হয়েছে। এজন্য তাকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি। একই কারণে বিচারক আদেশের নুতন তারিখ ঠিক করেন। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- রাকিকুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ্ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলমেন (৩৩) ও হাদিসুর রহমান সাগর (৪০)।

আসামিদের মধ্যে আজাদুল কবিরাজ পলাতক রয়েছেন। আব্দুর রউফ ও আবুল কাশেম জামিনে আছেন। অপর সাত আসামি কারাগারে আছেন। এদিন কারাগারে থাকা সাত আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়নি। জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে হাজিরা দেন।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ এর পঞ্চম তলায় ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই ভোরে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ৯ সন্দেহভাজন জঙ্গি মারা যায়। হাসান নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। পালিয়ে যায় একজন। তারা সবাই জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

ওই ঘটনায় ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় মামলা করেন। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

গত বছর ৯মে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। গত ১৮ জুলাই আদালত ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

 

ঢাকা/মামুন খান/সনি