ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১২ ১৪৩১

অনৈতিক ব্যবসার পাশাপাশি অর্থপাচার করেছেন পাপিয়া

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২১, ৩ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অনৈতিক ব্যবসার পাশাপাশি অর্থপাচার করেছেন পাপিয়া

রিমান্ডে একের পর এক নারী কেলেঙ্কারীর চকমপ্রদ তথ‌্য দিচ্ছেন যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া নরসিংদী জেলার সাধারণ সম্পাদক শামীম নূর পাপিয়া। জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দাদের কাছে নারীর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছেন বলেও স্বীকার করেছেন।

আর পাপিয়ার কানেকশনে বিদেশ থেকে যেসব তরুণীরা আসা-যাওয়া করতো এবং দেশ থেকে কারা বাইরে যেতো তাদের নামের একটি তালিকা করছেন গোয়েন্দা সদস‌্যরা।

মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে কথা হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইমের ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদের সঙ্গে।

তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, পাপিয়ার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। আরো কিছু তথ্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে আসবে। তার অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

পাপিয়া যেগুলো করেছেন সেগুলো সংগঠিত অপরাধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর সঙ্গে আরো অনেকে জড়িত। তবে যারাই জড়িত থাকুক সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাইজিংবিডির প্রশ্নে পুলিশের এ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন, তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পরই পাপিয়া ও তার স্বামী মতি ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হবে। এজন্য শিগগিরই তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার জন‌্য আদালতে আবেদন করা হবে।

গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া স্বীকার করেছেন, নারী ব্যবসার আড়ালে মুদ্রাপাচার ছিল তার অন্যতম বাণিজ্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু অ্যাকাউন্টে এসব অর্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। মানি লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নারীদের বাংলাদেশে এনে অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনা করতেন পাপিয়া। গ্রাহকদের প্রয়োজনে বিদেশেও পাঠানো হতো সুন্দরী নারী।  রাশিয়া, থাইল্যান্ড থেকে যেসব সুন্দরী তরুণী দেশে আনতেন তাদের মাধ্যমেও বেশ কিছু অর্থ তিনি ওইসব দেশে পাচার করেছেন। এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট ওইসব তরুণীর তথ্য নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন গোয়েন্দা সদস‌্যরা।

পাপিয়ার দেওয়া তথ্যে গোয়েন্দারা রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলীতেও তার বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছেন। যেখানে নারী ব্যবসার পাশাপাশি চলতো মাদক ও জাল টাকার ব্যবসা।

পাপিয়ার মামলার তদারকি কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, তার (পাপিয়া) দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। নারী ব্যবসা, মাদকপাচার, অস্ত্র ও জাল টাকার বাণিজ্যসহ অপরাধ জগতের অজানা সব কাহিনী বলছেন তিনি। যেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খোঁজা হচ্ছে।

 

ঢাকা/মাকসুদ/জনি

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়