নিম্নমানের পিপিই’র বিক্রয় বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
অনুমোদিত এবং নিম্নমানের পিপিই এবং পিপিই’র নামে রেইনকোট বিক্রয় বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বিভিন্ন অনলাইন শপ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিপিই’র অনুমোদিত বিজ্ঞাপন এবং বিক্রয় বন্ধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সরকারি ইমেইলে এ নোটিশ পাঠান।
আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বলেন, করোনার এই মহামারির সময় সারাদেশে ফুটপাতে এবং বিভিন্ন মার্কেটে নিম্নমানের পিপিই বিক্রয় হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। অনলাইনেও বিভিন্ন পেইজ খুলে এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পিপিই বিক্রয় হচ্ছে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিপূর্ণ গাইডলাইন দিয়েছে। এ গাইডলাইন না মেনে পিপিই তৈরি করলে তা করোনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত ৪ মে একটি সার্কুলার জারি করে পিপিই প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমোদন নেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু এরপরও ফুটপাত, বাজার এবং অনলাইনে নিম্নমানের পিপিই বিক্রয় অব্যাহত আছে। কিছু স্থানে হাসপাতালে ব্যবহৃত পিপিই ধুয়ে পুনরায় বিক্রয় করা হচ্ছে এবং পিপিই’র নামে রেইনকোট বিক্রয় করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ জনগন না জেনে পিপিই কিনে আরও বিপদের মধ্যে পড়ছে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। কিন্তু এ নিম্নমানের পিপিই বিক্রয় নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।’
নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে অনুমোদনহীন পিপিই সরানো এবং বিক্রয় বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
ঢাকা/মেহেদী/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন