লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যা: ৩ মানবপাচারকারী রিমান্ডে, ২ জন কারাগারে
লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মিজদাহ শহরে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় তিন মানবপাচারকারীর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই অভিযোগে তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় দুই মানবপাচারকারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (০৮ জুন) ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ রিমান্ড মঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, বাদশা ফকির এবং লিয়াকত আলী ওরফে লেকু শেখ। জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাদশা ফকির এক মামলার আসামি। আর লেকু শেখ অপর মামলার আসামি।
জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাদশা ফকিরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নি.) এস এম গফফারুল আলম। আর লেকু শেখের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার মিয়া।
লেকু শেখের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। অপর দুই আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
কারাগারে যাওয়া দুই আসামি হলেন- হযরত আলী ও নাজমুল হাসান। এদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) লিয়াকত আলী। তবে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এদিকে মামলায় রোববার (০৭ জুন) সুজন মিয়া নামে এক আসামি দোষ স্বীকার করে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে পল্টন থানার আরেক মামলায় মাহবুবুর রহমান ও সাহিদুর রহমানকে চার দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেম আল মামুন কারাগারে পাঠিয়েছেন। গত ৩ জুন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত ২৮ মে লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের হাতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১২ জন আহত হন। ১৫ দিন আগে লিবিয়ার বেনগাজী থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ত্রিপলিতে নেওয়া হচ্ছিল ৩৮ বাংলাদেশিকে। পথেই তাদের জিম্মি করে সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে ২৬ জনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা দায়ের করা হয়।
ঢাকা/মামুন/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন