পুলিশের ফেসবুক পেজে প্রবাসীর অভিযোগ, পাচারকারী গ্রেপ্তার

পুলিশের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে প্রবাসী এক ব‌্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে মানবপাচারকারী চক্রের এক দালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানী ওরফে মাসা।

রোববার (২৮ জুন) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখা থেকে এ তথ‌্য জানানো হয়েছে। সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি, মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, শনিবার ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা এলাকা থেকে কাজী সালেহকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, পুলিশের কেন্দ্রীয় ফেসবুক পেজে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অনেক তথ্য, অভিযোগ এবং সাহায্যের আবেদন আসে। সেগুলোর বিষ‌য়ে প্রয়োজনীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ ইউনিটগুলোকে নিয়মিত নি‌র্দেশনা দেওয়া হয় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।

সম্প্রতি ভিয়েতনাম থেকে একজন ভুক্তভোগী পুলিশের কেন্দ্রীয় ফেসবুক পেজের মেসেঞ্জার ইনবক্সে জানান, তারই এলাকার মানব পাচারকারী চক্রের দালাল কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানী ওরফে মাসার মাধ্যমে উচ্চ বেতনের চাকরির আশ্বাসে সাড়ে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে কিছুদিন আগে তিনি ভিয়েতনামে আসেন। গ্রেপ্তারকৃত মাসা তাকে আশ্বাস দিয়েছিল, কোম্পানি তাকে সরাসরি বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাবে, তার থাকা-খাওয়া এবং চিকিৎসা খরচ কোম্পানি বহন করবে এবং মাসে ৬৫০ ডলারের সমপরিমাণ বেতন দেবে। কিন্তু ওই ভুক্তভোগী ভিয়েতনামে পৌঁছানোর পর দেখতে পান এর কোনও কিছুই সত্য নয়। তাকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যেতে কেউ আসেনি। থাকা-খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকি চাকরিরও কোনও খবরই নেই। বরং, সেখানে পৌঁছার পর থেকে তার ওপর শুরু হয় নির্যাতন।

পুলিশ জানায়, এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী দেশে ফেরার জন্য দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দালাল তাকে জানায়, তার (দালালের) কাজ ছিল তাকে (ভুক্তভোগীকে) ভিয়েতনামে পৌঁছানো। এখন আর তার কোনও দায়িত্ব নেই। বর্তমানে ভুক্তভোগী ভিয়েতনামে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জরে অভিযোগটি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপারকে জানায়। জেলা পুলিশের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দালাল চক্রের সদস্য কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানী মাসাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত মাসা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

মাকসুদ/সাইফ